মাঘী পূর্ণিমায় বাসনার মেলা |
দীর্ঘ দিনের পুরনো নিমগাছ। রয়েছে সাতটি মাজার। কেউ মানত করে এই গাছে বাঁধছেন মাটির ঘোড়া। কেউ মানত পূর্ণ হওয়ায় গাছের তলায় জ্বালাচ্ছেন ধূপ ও মোমবাতি। কেউ মাজারে চড়াচ্ছেন চাদর। এভাবেই নদিয়ার গাংনাপুর থানার পাটুলিতে ২৪৩ বছর ধরে চলে আসছে পীরের মেলা। এই মেলা আজ আর শুধু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের লোকজনের উপস্থিতিতে এই মেলা সম্প্রীতির মেলায় পরিণত হয়েছে। রানাঘাট শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে বৈদ্যপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের পাটুলি গ্রাম। সেখানেই বিঘা ত্রিশ জমির উপর মাঘী পূর্ণিমার দিন এই মেলা বসেছে। মেয়াদ সাত দিন। তবে চলে দিন পনেরো। আর পাঁচটা গ্রাম্য মেলার মতো সবকিছুই পাওয়া যায় এখানে। শুক্রবার সকাল থেকেই আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজন মেলায় ভিড় করতে শুরু করেছেন। কেউ সঙ্গে নিয়ে এসেছেন মুরগি, কেউ ছাগল। এগুলিকে পূজা দেওয়া হয়। পরে তা রান্না করে প্রসাদ হিসাবে গ্রহণ করা হয়। হুগলির সাহাগঞ্জের বাসিন্দা মনোয়ারা বেওয়া, তসলিমা আরিফরা বলেন, “মানত করে ফল পেয়েছি। তাই এখানে এলে ভাল লাগে।” রানাঘাট নাসরাপাড়ার বাসিন্দা নৌসাদ আলি বলেন, “এখানে মানত করে রানাঘাট পুরসভায় চাকরি পেয়েছি। তারপর এসে পুজো দিয়ে গিয়েছিলাম। সেই টানে এখনও আসি।” শোনা যায়, এক সময় জনাব আলি মোল্লা নামে এক ধর্মপ্রাণ মানুষ এখানে বসবাস করতেন। পীর সাহেব তাঁকে স্বপ্নে আদেশ দিয়েছিলেন, একটা নিম গাছ রোপণ করার জন্য। সেই মতো নিমগাছ লাগিয়ে তার নিচে তিনি সাধনা করতেন। রোগ সারানোর জন্য তিনি গাছ-গাছড়ার ছাল-শিকড় বিলি করতেন। আজও তাঁর অনুগামীরা ভেষজ ওষুধ বিলি করেন।
|
যাত্রী তোলা নিয়ে গণ্ডগোল কৃষ্ণনগরে |
কৃষ্ণনগর স্টেশন চত্বর থেকে যাত্রী তোলা নিয়ে প্রথমে বিবাদ ও পরে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ল বাস ও যাত্রীবাহী ছোট গাড়ির কর্মীরা। সোমবার সকালের ওই ঘটনার প্রতিবাদে বন্ধ রাখা হয়েছে টাউন সার্ভিসের বাস। কোতোয়ালির আইসি রাজকুমার মালাকার বলেন, “যাত্রী তোলা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে গণ্ডগোল হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক দিন ধরেই শহরের ভিতরে, বিশেষ করে স্টেশন ও বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যাত্রী তোলা ও চলাচলের রুট নিয়ে বাস ও যাত্রী বাহী গাড়ির কর্মীদের মধ্যে চাপানউতোর চলছিল। সোমবার তা চরম আকার নেয়। নদিয়া জেলা বাস মালিক সমিতির পক্ষে অসীম দত্ত বলেন, “ঠিক হয়েছিল, ছোট গাড়িগুলো স্টেশনের বাসস্ট্যান্ড থেকে কোনও যাত্রী তুলবে না। কিন্তু ওরা সেটা মানছে না। নির্দিষ্ট রুটেও ওরা চলছে না। ফলে একটা সমস্যা তৈরি হচ্ছিল কয়েক দিন ধরেই। আজ আবার ওরা একই ঘটনা ঘটালে আমাদের কর্মীরা প্রতিবাদ করে।” যাত্রীবাহী ছোট গাড়ির চালক জামাল শেখ বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ ঠিক নয়। টাউন সার্ভিসের বাস গুলিই তাদের নির্দিষ্ট রুটে চলে না। আমরাই শহরের মানুষকে সেই সব রুটে পরিষেবা দিচ্ছি।” অতিরিক্ত জেলাশাসক উৎপল ভদ্র বলেন, “যাত্রীদের সুবিধার জন্যই আমরা বিভিন্ন রুটে এইসব গাড়ি চালানোর অনুমতি দিচ্ছি। তার পরেও যদি সমস্যা হয় তাহলে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
|
সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ভোটে জিতল তৃণমূল। রবিবার খড়গ্রাম ব্লকের মারগ্রাম পঞ্চায়েতের পাথাই-খেঁসড় সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ভোটে ৪৯টি আসনের মধ্যে ৩৮টি আসনে জেতেন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। চারটি আসনে কংগ্রেস ও সাতটি আসনে সিপিএম জয়ী হয়েছে। ওই সমবায়টি আগে কংগ্রেসের দখলে ছিল। ওই এলাকার সদ্য কংগ্রেস ত্যাগী জেলা পরিষদের সদস্য মফিজুদ্দিন মণ্ডল বলেন, “লোকসভা ভোটের আগে এই জয় আমাদের কর্মীদের মনোবল বাড়াবে।”
|
পুলিশ হেফাজতে দলীয় কর্মীর মৃত্যুর প্রতিবাদে কান্দি মহকুমা জুড়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন কংগ্রেসকর্মীরা। রবিবার রানিনগর থানায় রাজীব মোল্লা নামে এক কংগ্রেসকর্মী পুলিশ হেফাজতে মারা যান। পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ওই দিনই এলাকার কংগ্রেসকর্মীরা ওই থানা ঘেরাও করে রেখে বিক্ষোভ দেখান। সোমবার কান্দি মহকুমার বড়ঞা, কান্দি, খড়গ্রাম, ভরতপুর ও সালার-সহ বিভিন্ন এলাকায় বেলা এগারোটা থেকে বারোটা পর্যন্ত পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস। এর ফলে ডাকবাংলা, বেলগ্রাম কুলির মোড়, কান্দি বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকাগুলিতে তীব্র যানজট হয়।
|
একশো দিনের কাজে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠল কংগ্রেস-বিজেপি পরিচালিত কালীগঞ্জের গোবরা পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। শাসকদলের অভিযোগ, দিনকয়েক ধরে ওই পঞ্চায়েতের আকন্দবেড়িয়ায় মাটি কাটার কাজ চলছে। অভিযোগ,সেখানে কাজ করেননি এমন অনেকের নাম রয়েছে ‘মাস্টার রোলে’। এলাকার কংগ্রেস নেতা হাফিউদ্দিন আহমেদ পোস্ট অফিসে শ্রমিকদের মজুরি তুলতে যান বলে অভিযোগ তৃণমূলের ব্লক কমিটির সদস্য জগন্নাথ সাহার। তিনি বলেন, ‘‘কাজ না করা সত্ত্বেও হাফিউদ্দিনের চার ভাইয়ের নাম রয়েছে মাস্টার রোলে। ’’ অভিযোগ উড়িয়ে হাফিউদ্দিন বলেন, ‘‘রাজনৈতিক কারণে কুৎসা রটাচ্ছে ওরা।’’
|
বাংলা রামায়ণের রচয়িতা কবি কৃত্তিবাস ওঝার স্মরণোৎসব চলছে ফুলিয়ায়। স্মৃতিরক্ষা সমিতি আয়োজিত চার দিনের এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি বানীকুমার রায়। রামায়ণ গান, কবির জীবনী নিয়ে আলোচনা, সম্প্রীতির দৌড়, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, নাটক , যাত্রানুষ্ঠান, বাউল, লোকসঙ্গীত, মহিলা ভলিবল-সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে। |