ফুটপাতে গাড়ি দাঁড় করিয়ে মালপত্র ওঠানামা বন্ধ করে শহরকে যানজট মুক্ত করতে গুদাম ঘর তৈরি করেছিল জামুড়িয়া পুরসভা। কিন্তু জামুড়িয়ার বাইপাস রাস্তার পাশে সাত বছর আগে তৈরি হওয়া সেই গুদাম ঘর এখনও চালু হয়নি। ফলে জামুড়িয়া শহরে যানজটের সমস্যা যেখানে ছিল, সেখানেই রয়ে গিয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৭ সালে জামুড়িয়া শহরের বাইপাসের ধারে ১৪টি ঘরের একটি বড় গুদাম তৈরি করা হয়েছিল। রাস্তার পাশে বড় গাড়ি দাঁড় করিয়ে পণ্য ওঠানো নামানো বন্ধ করে ব্যবসায়ীদের পণ্যসামগ্রী এই গুদামঘরগুলিতে মজুত করানোর পরিকল্পনা নিয়েছিল জামুড়িয়া পুরসভা। গুদাম ঘরগুলির পাশেই গাড়ি দাঁড় করিয়ে মালপত্র নামানোর জন্য লরি ও ট্যাক্সি স্ট্যান্ড তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু আদৌও কোনও লাভ হয়নি। |
| বন্ধ সেই সব গুদামঘর। —নিজস্ব চিত্র। |
গুদাম ঘরগুলি চালু না হওয়ায় আগের মতই রাস্তার পাশেই পণ্য ওঠানো নামানো চলছে। গাড়ি রাখার জায়গায় কোনও লরি ঢোকে না প্রায় বললেই চলে। এলাকায় গিয়ে দেখা গিয়েছে, গুদামঘরগুলি পড়ে রয়েছে পরিত্যক্ত অবস্থায়। তার চারপাশ ভরে গিয়েছে আগাছায়। গাড়ি থাকার জায়গায় কোনও লরি নেই। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, জামুরিয়া শহরের প্রধান রাস্তায় নন্দীমোড় ও বাটামোড় এলাকায় প্রায় প্রতি দিনই মাল ওঠানো নামানোর কাজ চলে। স্থানীয় বড় হাটতলা মোড়ের ফুটপাতেও একই অবস্থা। মাল ওঠানো নামানো ছাড়াও ফুটপাত দখল করে রয়েছে হকার। পাকিং করার জায়গা না থাকায় রাস্তার মধ্যেই দাঁড় করানো থাকে গাড়ি। ফলে প্রায় মাঝে মধ্যেই তীব্র যানজটে পড়ে হাঁসফাঁস করে শহর।
তৃণমূল প্রভাবিত আসানসোল মোটর ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাজু অহলুওয়ালিয়া জানান, প্রায় সাত বছর আগে তৈরি হওয়া গুদাম ঘরগুলি পুরসভার অধীনে রয়েছে। তিনি বলেন, “গুদামগুলি খোলার বিষয়ে পুরসভাকে উদ্যোগী হতে হবে। পুরসভা যদি উপভোক্তাদের হাতে সেগুলি তুলে দেয় তা হলেই অর্ধেক সমস্যা মিটে যাবে। পরিবহণ সংক্রান্ত সমস্যাগুলি পুরসভা ও পুলিশ-প্রশাসনের বৈঠক করেই মেটানো সম্ভব।” জামুড়িয়ার পুরপ্রধান সিপিএমের ভাস্কর বন্দোপাধ্যায় বলেন, “গুদামঘরের কাজ অনেক দিন আগে শেষ হয়েছে। কিন্তু মিউনিসিপ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিরেক্টরেটের (এমইডি) ছাড়পত্র পেতে দেরি হওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়েছে।” তবে একই সঙ্গে তাঁর আশ্বাস, “কিছু দিন আগে ওই দফতরের সবুজ সঙ্কেত পাওয়া গিয়েছে। গুদামগুলি বিলির কাজ খুব দ্রুত শেষ করার কথা। অন্যান্য সমস্যাগুলি নিয়ে বিষয়গুলি পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।” |
