পড়ুয়াদের থেকে নেওয়া বাড়তি ফি ফেরত-সহ নানা দাবিতে স্কুলে তালা ঝোলানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। আন্দোলনে পিছু না হটে স্কুলের সীমানা প্রাচীরের বাইরের মাঠেই পঠনপাঠন শুরু করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষও। বুধবার মালদহের চাঁচলের খরবা এগ্রিল হাইস্কুলের ঘটনা। তবে ঘণ্টা দুয়েক পরে পুলিশ স্কুলে গিয়ে তালা খুলে দেয়। তৃণমূল নেতারা ও স্কুল কর্তৃপক্ষ আলোচনায় বসলেও এ দিন স্কুলে আর পঠনপাঠন হয়নি। |
স্কুল কর্তৃপক্ষকে বেশ কয়েকটি বেনিয়মের বিষয়ে একাধিক বার জানিয়েও সুরাহা না হওয়ায় অভিভাবকদের একাংশ স্কুলে তালা ঝুলিয়েছে বলে তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে। পাশাপাশি, এদিন ফতেহা ইয়াজদহমে ছুটিও দেওয়া হয়নি বলে অভিভাবকদের ক্ষোভ বেড়েছে। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) আশিসকুমার চৌধুরী বলেন, “স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকতেই পারে। কিন্তু এ ভাবে স্কুলে তালা ঝোলানো ঠিক নয়। ফতেহা ইয়াজদহম মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ছুটির তালিকায় না থাকায় তা দেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল না।”
তৃণমূলের অভিযোগ, পড়ুয়াদের থেকে ডোনেশনের নামে বাড়তি টাকা নেওয়া ছাড়াও ডিপিইপি-র টাকায় তৈরি অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষ প্রধানশিক্ষক নিয়ম-বহির্ভূত ভাবে তা নিজের অফিস ঘর হিসাবে ব্যবহার করছেন। প্রতিবন্ধী পড়ুয়াদের জন্য নির্মিত শৌচালয় প্রধান শিক্ষক ব্যবহার করছেন। কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও লাভ হয়নি। চাঁচল-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি মজিবর রহমান বলেন, “ডোনেশনের নামে ১৮০ টাকা বেশি নেওয়া হয়েছে। এ দিন বাসিন্দারাই স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দেন। |
বেলা ১১টায় স্কুলে গিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকারা দেখেন যে স্কুলের মূল ফটকে তালা ঝুলছে। এর পর স্কুলের সামনের মাঠে বসেই সাদা কাগজে রোলকল করে ক্লাস শুরু হয়। পাশাপাশি স্কুল খোলার আবেদন জানানো হয় পুলিশকে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক হোসেন আলি বলেন, “তৃণমূল নেতারা মিথ্যা অভিযোগ তুলে একটা শিক্ষাদিবস নষ্ট করল। পুলিশের সাহায্য মেলেনি। আর সরকার নির্দেশিত ফি-র বাইরে বাড়তি কোনও টাকা নিইনি।” চাঁচলের আইসি জয়ন্ত লোধচৌধুরী বলেন, ‘‘প্রধান শিক্ষক ঠিক কথা বলছেন না। পুলিশ গিয়েই তালা খুলে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনে।”
|