জেলা বইমেলা ঘিরে দুই মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র ও কৃষ্ণেন্দু চৌধুরীর বিরোধ চরমে উঠল। সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র আমন্ত্রণ জানানোর পরেও পর্যটনমন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী বুধবার বইমেলা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে না আসায় অস্বস্তিতে বইমেলা কমিটি কর্তারা। শহরে থেকে বইমেলার পদযাত্রা, উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ছিলেন না পর্যটনমন্ত্রী। দুই নেতানেত্রীর বিরোধ স্বীকার করে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতা ইংরেজবাজার পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকার। বলেন, “এই বারই প্রথম বইমেলায় আমন্ত্রণ পেয়েছি। দুই মন্ত্রীর বইমেলার কর্তৃত্ব নিয়ে লড়াই চলছে।” |
সাবিত্রীদেবী বলেন, “বইমেলায় আসার জন্য আমি কৃষ্ণেন্দুকে ফোন করেছিলাম। ও বলেছিল, মেডিক্যাল কলেজে ব্যস্ত থাকবে। আসার চেষ্টা করবে। কমিটি নিয়ে যে গোলমাল হয়েছিল তা মিটে গিয়েছে। কৃষ্ণেন্দুর পছন্দের লোককে বইমেলা কমিটিতে রাখা হয়েছিল।” গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে কৃষ্ণেন্দুর বক্তব্য, “মালদহ মেডিক্যাল কলেজে বৈঠকে ব্যস্ত ছিলাম। তাই বইমেলায় যেতে পারিনি। বইমেলার পদ বা কমিটি নিয়ে বক্তব্য নেই।”
মেলা কমিটি সূত্রের খবর, বইমেলা নিয়ে বছরের শুরু থেকেই দুই মন্ত্রীর বিরোধ শুরু হয়। পর্যটনমন্ত্রী তাঁর এক ঘনিষ্টকে মেলা কমিটির দায়িত্বে বসাতে চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ। কিন্তু সাবিত্রীদেবী তাতে নারাজ ছিলেন। তাঁর ঘনিষ্ঠ এক নেতাকে মেলার দায়িত্বে বসানো হয়। মূলত তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের রেশ লাগে, বইমেলায়। দুই মন্ত্রীর বিরোধে বইমেলা পিছিয়ে যায়। ১২ ফেব্রুয়ারি বইমেলা শুরু হতে জেলার একাংশ পড়ুয়া, শিক্ষক, অভিভাবকরা অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তাদের অভিযোগ, মাদ্রাসার পরীক্ষা ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে।, ১৪ ফেব্রুয়ারি আইএসসির পরীক্ষা শুরু। মাধ্যমিক পরীক্ষা ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে। সাবিত্রীদেবী বলেন, “বইমেলা আগে করলে ভাল হত। এই জন্য সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।”
বইমেলার উদ্বোধন করে দেশ পত্রিকা সম্পাদক হর্ষ দত্ত বলেন, “বই অসৎ মানুষকে সৎ পথে চালিত করতে পারে। এমনকি মৃত্যুর মত দুঃখের কথা বই দূর করতে পারে।” শিশু সাহিত্যিক ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “গ্রন্থাগার হচ্ছে মন্দির। বই বিগ্রহ। বইমেলায় বিগ্রহকে সবার সামনে হাজির করা হয়।” মালদহের কলেজ মাঠে বইমেলা চলবে ১৮ ফেব্রুয়ারি অবধি। |