দাবি ছিল সপ্তাহে সাতদিনই সরাসরি কলকাতা যাওয়ার একটি এক্সপ্রেস ট্রেনের। পাওয়া গেল একটি দ্বি-সাপ্তাহিক বালুরঘাট-হাওড়া এক্সপ্রেস ট্রেন। তবে তাতেই খুশি এলাকার কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকেরা।
বুধবার অন্তর্বর্তী রেল বাজেটের ঘোষণার পরে এ দিন বিকেলে বালুরঘাট রেল স্টেশনে টাউন কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরীর প্রতিকৃতি নিয়ে উচ্ছ্বাস করতে দেখা যায় কর্মী-সমর্থকদের। যাত্রী-সহ লোকজনের মধ্যে লাড্ডু বিতরণ করেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। দলের জেলা সভাপতি নীলাঞ্জন রায় বলেন, “স্বল্পকালীন রেল বাজেটের মধ্যেও এই জেলা দূরপাল্লার নতুন একটি ট্রেন পেল। কংগ্রেসের উদ্যোগ ও তৎপরতায় এটা সম্ভব হয়েছে।” যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা আইন পরিষদীয় সচিব বিপ্লব মিত্র বলেন, “কেন্দ্রে থাকার সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলার রেল উন্নয়নের জন্য একগুচ্ছ প্রকল্প শুরু করেছিলেন। মুকুল রায় রেলমন্ত্রী থাকার সময়ই বালুরঘাট-হাওড়া ট্রেন চালুর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। বর্তমানে বহু প্রকল্পের কাজ বন্ধ। লোকসভা ভোটের মুখে সপ্তাহে দু’দিন ওই ট্রেন চালুর সাফল্য প্রচারের সুযোগ নিচ্ছে কংগ্রেস।” |
২০০৪ সাল থেকে রেল যোগাযোগ চালু হওয়ার পর থেকে বালুরঘাটে একটি লিঙ্ক এক্সপ্রেস ট্রেন মালদহ স্টেশনে গিয়ে গৌড় এক্সপ্রেসের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কলকাতার শিয়ালদহ যায়। তবে বালুরঘাটের চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদক সুদীপ বাগচীর অভিযোগ, “ওই লিঙ্ক ট্রেন প্রায়ই দেরি করে ছাড়ায় মালদহ থেকে গৌড় ধরা সম্ভব হয় না।” নীলাঞ্জনবাবু বলেন, “আপাতত সপ্তাহে ওই ট্রেন দুদিন চলবে বলে ঠিক হলেও পরবর্তীতে তা বাড়বে বলে আশা করছি। তাছাড়া, কলকাতা-বালুরঘাট সরাসরি প্রতিদিন রাতের একটি এক্সপ্রেস ট্রেনের দাবি থেকে আমরা সরছি না। বালুরঘাট স্টেশনে রেল লাইনের সংখ্যা বাড়িয়ে ওই ট্রেন চালুর দাবিতে আন্দোলন চলবে।” এ ছাড়া নিউ জলপাইগুড়ি থেকে রাঁচি যাওয়ার একটি সাপ্তাহিক ট্রেন চালুর ঘোষণাও এ দিন বাজেটে করা হয়েছে।
অন্য দিকে, উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের হরিশ্চন্দ্রপুর স্টেশন থেকে অনশন আন্দোলন তুলে নিল হরিশ্চন্দ্রপুর যৌথ মঞ্চ। চারটি এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপ-সহ ৮ দফা দাবিতে সোমবার থেকে ওই অনশন-আন্দোলন শুরু হয়েছিল। দু’দিন বাদে মঙ্গলবার রাত রেলের তরফে আশ্বাস দেওয়ার পর ১২টায় অনশন-আন্দোলন তুলে নেওয়া হয়। কাটিহারের ডিআরএমের এক প্রতিনিধি মঞ্চের সদস্যদের সঙ্গে মঙ্গলবার রাতে দেখা করেন। মঞ্চের দাবিদাওয়া নিয়ে রেলের তরফে আশ্বাস পেয়ে অনশন তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে। |