সমতলের মতো পাহাড়েও ডিজিটাল রেশন কার্ড তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। আগামী মাস থেকেই দাজির্লিঙে সেই কাজ শুরু হতে চলেছে বলে বুধবার কালিম্পঙে জানিয়েছেন রাজ্যের খাদ্য ও সরবারহ মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এ দিন কালিম্পঙে তৃণমূলের পাহাড় কমিটির রাজনৈতিক কনভেশনে যোগ দিয়ে এমনই জানিয়েছেন হাবড়ার তৃণমূলের বিধায়ক তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দায়িত্বে থাকা জ্যোতিপ্রিয়বাবু। কালিম্পের টাউন হলে তৃণমূলের কনভেনশনে রাজ্য সরকারের উন্নয়নের কথাই শোনা গিয়েছে জ্যোতিপ্রিয়বাবুর মুখে। তিনি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ডুয়ার্সের ৫টি বন্ধ ও রুগন চা বাগানে স্থায়ী রেশন দোকান খোলা হচ্ছে। এর পরে সমতল এবং পাহাড়ের সব ক’টি চা বাগানেই এ ধরনের দোকান খোলা হবে।
গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রসঙ্গও এসেছে খাদ্য ও সরবারহ মন্ত্রীর বক্তৃতায়। তিনি বলেন, “পাহাড়ে মোর্চা হল শাসক দল। আমরা একসঙ্গে পাহাড়ের উন্নয়নের কাজ করব। পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই একগুচ্ছ উন্নয়ন প্রকল্প ঘোষণা করে দিয়েছেন।” কনভেনশনের পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জ্যোতিপ্রিয়বাবু বলেন, “রাজ্যে লোকসভা ভোটে তৃণমূল একাই লড়ার ক্ষমতা রাখে। সব আসনেই তৃণমূল প্রার্থী দেবে।” এ দিন তৃণমূলের কনভেনশনে প্রদেশ যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা কলকাতার কাউন্সিলর শান্তনু সেন, তৃণমূলের পাহাড় কমিটির আহ্বায়ক রাজেন মুখিয়া, মুখপত্র বিন্নি শর্মাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্য দিকে, এ দিন কালিম্পঙের রোপওয়ে পরিষেবার শিলান্যাস করেছেন জিটিএ-এর চিফ তথা মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ। ডেলো থেকে রেলি পর্যন্ত রোপওয়ে পরিষেবার শিলান্যাসের সঙ্গেই কাগেই এলাকায় একটি ১০ শয্যার হাসপাতালেরও শিলান্যাসও এ দিন করেছেন গুরুঙ্গ। ওই সভা থেকে কালিম্পঙে মেলার মাঠে স্টেডিয়াম তৈরি, রেলিতে নতুন পর্যটন কেন্দ্র তৈরি সহ বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প তিনি ঘোষণা করেছেন। এ দিন বিমল গুরুঙ্গ বলেন, “লোকসভা ভোটের বিধি নিষেধ জারি হয়ে গেলে নতুন কাজ শুরু করা যাবে না। যত দ্রুত সম্ভব সেই কাজগুলি শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” |