উদ্ধার হল বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি সৌমেন দত্তর বাড়ি থেকে লুঠ হওয়া মালপত্র। গত ৪ ফেব্রুয়ারি গোপালনগরে চালকিতে ওই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতেরা সৌমেনবাবুর দাদা প্রদীপবাবুকে মারধর করে ও প্রায় ৭০ ভরি সোনার গয়না ও নগদ প্রায় দেড় লক্ষ টাকা নিয়ে পালিয়ে বলে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারে মধ্যে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখা দেয়। স্থানীয় বিধায়ক তৃণমূলের বিশ্বজিৎ দাসও রাজ্য পুলিশের ডিজি-র কাছে দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি তোলেন। দুষ্কৃতীদের খোঁজে জোর তল্লাশিতে নামে পুলিশ। শেষ পর্যন্ত ওই ডাকাতদলের ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। |
বুধবার গোপালনগর থানায় এক সাংবাদিক সম্মেলন করে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, লুঠ হওয়া গয়ার ৩০ ভরি সোনা উদ্ধার হয়েছে। ধরা পড়েছে পাঁচ দুষ্কৃতী। মূল পাণ্ডা-সহ বাকিদেরও ধরার চেষ্টা চলছে। সম্মেলনে ছিলেন বনগাঁর এসডিপিও রূপান্তর সেনগুপ্ত, সিআই (গাইঘাটা) বিশ্বজিৎ পাত্র, গোপালনগর থানার ওসি দীপঙ্কর ভট্টাচার্য। রূপান্তরবাবু বলেন, “পুলিশ যে চুপ করে বসেছিল না তার প্রমাণ, ডাকাতির দু’দিনের মধ্যে দুষ্কৃতীদের ধরা শুরু হয়। চারদিনের মধ্যে মালপত্র উদ্ধার হয়।”
ধৃতদের কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা, একটি রিভলভার, ২ রাউন্ড গুলি ও একটি গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এর আগে গত ২০ জানুয়ারি সাতবেড়িয়ায় যে ডাকাতি হয়েছিল তাতেও এই দলটি যুক্ত ছিল বলে পুলিশের দাবি। এই ঘটনাতেও লুঠ হওয়া প্রায় ৮০ হাজার টাকার মালপত্র উদ্ধার হয়েছে।
একই অভিজ্ঞতা হয়েছে প্রাক্তন শিক্ষক বিভূতোষ ভট্টাচার্যেরও। এই ঘটনার পরে ব্যাঙ্ক সূত্রে জানানো হয়েছে, এটিএম নিয়ে কোনও জটিলতা দেখা দিলে গ্রাহককে মোবাইল ফোনে নয়, লিখিত ভাবেই তা জানানো হয়। তাই কোনওভাবেই কাউকে এটিএম কার্ডের নম্বর ও পাসওয়ার্ড যেন কেউ না দেন। |