শুরুর আগেই বিতর্ক। আজ, বৃহস্পতিবার উদ্বোধন হবে ৩৩ তম মুর্শিদাবাদ বইমেলার। কিন্তু উদ্বোধনের ২৪ ঘন্টা আগেই বইমেলাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
বইমেলা কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ, আমন্ত্রণ কার্ডে নাম উল্লেখ না করার পাশাপাশি বহরমপুরের সাংসদ তথা রেল দফতরের প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী, বহরমপুরের বিধায়ক কংগ্রেসের মনোজ চক্রবর্তী থেকে বহরমপুরের পুরপ্রধান নীলরতম আঢ্য, এমনকী মুর্শিদাবাদ জেলাপরিষদের সভাধিপতি শিলাদিত্য হালদারকে বইমেলায় আমন্ত্রণ জানানোরও সৌজন্যতা দেখায়নি তারা। ওই অভিযোগে জেলা কংগ্রেস বইমেলা বয়কটের ডাক দিয়েছে।
জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র অশোক দাস বলেন, “রেল দফতরের যে কোনও অনুষ্ঠানে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানোর পাশাপাশি তাঁদের কার্ডে-বিজ্ঞাপনে নাম উল্লেখ থাকে। কিন্তু জেলা বইমেলা বহরমপুরে হচ্ছে অথচ কংগ্রেসের জনপ্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ না জানানো হয়নি। এতে কংগ্রেসের সাধারণ কর্মী-সমর্থকদের আবেগে ধাক্কা লেগেছে। তৃণমূলের দলতন্ত্রের বিরোদিতা করে বইমেলা বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে।”
এই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার বিকেলে জেলা পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতির সদস্যরা বহরমপুর ব্যারাক স্কোয়ার ময়দানে বইমেলা গেটের সামনে জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ দেখান। সমিতির জেলা সভাপতি মহাফুজ আলম বলেন, “কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ না জানানোর বিষয়টি মানতে পারছেন না সদস্যরা। তার প্রতিবাদে বিক্ষোভ।”
কিন্তু কেন জেলার কংগ্রেস নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি সেই বিষয়ে বইমেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক উৎপল পাল কোনও মন্তব্য করতে চাননি। বইমেলার উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন উদ্যানপালন দফতরের মন্ত্রী সুব্রত সাহা। কংগ্রেসের বইমেলা বয়কট প্রসঙ্গে সুব্রতবাবুর সংক্ষিপ্ত জবাব, “বইয়ের উপরে কারও রাগ করা উচিত নয়।”
বইমেলা কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, বহরমপুর ব্যারাক স্কোয়ার ময়দানে অনুষ্ঠিত ওই বইমেলা চলবে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে আচার্য রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদীকে শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে বইমেলায়। বইমেলায় প্রায় দেড়শোটি স্টল তৈরি হচ্ছে। তার মধ্যে প্রায় ১২০টি বইয়ের স্টল হবে। বইমেলা কমিটির পক্ষে তপন ঘোষ বলেন, “১৪-১৯ ফেব্রুয়ারি ৬ দিন দুপুর ৩-৫টা পর্যন্ত বিভিন্ন আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি দিন সন্ধ্যায় থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও।” |