|
|
|
|
জঙ্গলে স্ত্রী খুন, গ্রেফতার স্বামী
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
স্ত্রীকে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড় থানার বীরপাতরি জঙ্গল থেকে শ্যামলী পাল (২৯) নামে ওই বধূর দেহ উদ্ধার হয়। মৃতার স্বামী জয়দীপ পালকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বাকি দুই অভিযুক্ত জয়দীপের দাদা ও বৌদি পলাতক। ধৃতকে বুধবার মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
বছর দশেক আগে বীরপাতরি গ্রামের বাসিন্দা শ্যামলীদেবীর সঙ্গে বাঁকুড়া জেলার তালড্যাংরা থানার খাটভাঙা গ্রামের বাসিন্দা জয়দীপের বিয়ে হয়। পেশায় মিষ্টি দোকানের কর্মী জয়দীপ ঝাড়খণ্ডে থাকেন। তবে সম্প্রতি বাড়িতেই বেশিরভাগ সময় থাকছিলেন তিনি। তাঁদের একটি ছ’বছরের ছেলেও রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই নানা কারণে স্বামীর সঙ্গে শ্যামলীদেবীর অশান্তি চলত। মাঝে-মধ্যে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিতেন বলে অভিযোগ। শ্যামলীদেবীর বাপের বাড়ির অভিযোগ, জয়দীপের সঙ্গে তাঁর বৌদির বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। সেই নিয়ে প্রতিবাদ করায় সম্প্রতি শ্যামলীদেবীর উপর অত্যাচার আরও বেড়ে গিয়েছিল।
দীর্ঘ দিন পর গত ৯ ফেব্রুয়ারি জয়দীপ স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে গোয়ালতোড়ে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গোয়ালতোড় বাজারে যাওয়ার নাম করে স্ত্রীকে নিয়ে সাইকেলে বেরোন জয়দীপ। অভিযোগ, কাছে বীরপাতরি জঙ্গলের ভিতরে স্ত্রীকে নিয়ে গিয়ে প্রচণ্ড মারধর করেন। তারপর গলায় কাপড়ের ফাঁস দিয়ে স্ত্রীকে খুন করে জঙ্গলেই ফেলে রেখে পালিয়ে যান তিনি। রাতে ওই দম্পতি শ্বশুরবাড়িতে না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। শ্যামলীদেবীর কাকার ছেলে তাপস দণ্ডপাট মোটর বাইকে গোয়ালতোড়ে আসেন এবং সেখানে জয়দীপকে দেখতে পান। অভিযোগ, তাপসবাবুর সঙ্গে দেখা হওয়ার পরই জয়দীপ পালানোর চেষ্টা করেন। কিছু একটা ঘটেছে বুঝতে পেরে তাপসবাবু জয়দীপকে ধরে ফেলেন। রাতেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ জয়দীপকে নিয়ে জঙ্গলে গিয়ে শ্যামলীদেবীর মৃতদেহ উদ্ধার করে। রাতে তাপসবাবু গোয়ালতোড় থানায় জয়দীপের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। খুনে ইন্ধন দেওয়ার জন্য জয়দীপের দাদা ও বৌদির নামেও অভিযোগ হয়েছে। তাঁরা পলাতক। |
|
|
|
|
|