|
|
|
|
স্কুলছাত্রীর সঙ্গে অশোভন আচরণ, প্রতিবাদে বিক্ষোভ
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
মঙ্গলবার দুপুরে স্কুল চলাকালীন পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গাল টিপে ‘আদর’ করেছিল নবম শ্রেণির এক ছাত্র। ওই ঘটনার জেরে বুধবার বিনপুরের শিলদা অঞ্চলের শুকজোড়া গ্রামের একটি হাইস্কুলে দিনভর তুমুল বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসী ও অভিভাবকদের একাংশ। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক-সহ অন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ঘেরাও করে রাখা হয়। তৃণমূলের ক্ষমতাসীন স্কুল পরিচালন কমিটির একাংশও ওই বিক্ষোভে সামিল হন। পরিচালন কমিটির সদস্য নবদ্বীপ দাসের নেতৃত্বে তাঁর অনুগামীরাও বিক্ষোভ-কর্মসূচির নেতৃত্বে থাকায় অস্বস্তিতে পড়েছেন কর্তৃপক্ষ। ঘটনা হল, নানা অনিয়মের কারণে মাস তিনেক আগে অনাস্থা এনে স্কুল সম্পাদকের পদ থেকে নবদ্বীপবাবুকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ফলে, এই ঘটনার পিছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছায়া দেখছেন বাসিন্দাদের একাংশ। এ দিন ওই স্কুলে পঠন-পাঠন ব্যহত হয়। স্কুলে পৌঁছয় বিনপুর থানার পুলিশ। আলোচনায় বসে পরিচালন কমিটি। ওই ছাত্রী ও তার অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ। ছাত্রীটির বাবা অবশ্য পুলিশের কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযুক্ত নাবালক হওয়ায় তাকে সতর্ক করে ছেড়ে দেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। পরিচালন কমিটির দ্বন্দ্বের কারণে অভিযুক্ত পড়ুয়াটির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসীর একাংশ।
মঙ্গলবার স্কুল ছুটির পর ওই ছাত্রীটি বাড়ি ফিরে অভিভাবকদের জানায়, মঙ্গলবার স্কুল চলাকালীন নবম শ্রেণির এক ছাত্র তার সঙ্গে অশোভন আচরণ করেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে একদল গ্রামবাসী ও অভিভাবক স্কুলে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। মারমুখী জনতার হাত থেকে বাঁচাতে ওই ছাত্রকে স্কুলের একটি ঘরে বন্ধ রাখেন কর্তৃপক্ষ। মেয়েটির বাবা জানান, ঘটনার পরে তাঁর মেয়ে ভীষণ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এ দিন অবশ্য ছাত্রীটি স্কুলে এসেছিল। বিকেলে পরিচালন কমিটির বৈঠকের পর ওই ছাত্র ও তার অভিভাবককে সতর্ক করে দেওয়া হয়। ছাত্রটি ভুল স্বীকার করায় তার বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুখেন্দ্রনাথ পণ্ডিত বলেন, “আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মিটে গিয়েছে।”
স্কুল পরিচালন কমিটির সদস্য নবদ্বীপ দাস বলেন, “আমি স্কুলের প্রকৃত উন্নয়ন চাই। অন্যায়ের প্রতিবাদ করি বলে চক্রান্ত করে তিন মাস আগে আমাকে সম্পাদক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্কুলের এই পরিণতির জন্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকই দায়ী।” স্কুল পরিচালন কমিটির সম্পাদক সুভাষ সরেন বলেন, “নানা অনিয়মের কারণে সম্পাদক পদ থেকে নবদ্বীপবাবুকে সরানো হয়েছিল। সেই কারণেই উনি এ দিন স্কুলে গণ্ডগোল পাকিয়েছিলেন। তবে স্কুলের পড়ুয়াদের কোনও সমস্যা হচ্ছে কি-না দেখে পদক্ষেপ করব।” |
|
|
|
|
|