ভাড়া বাড়িতে খুঁড়িয়ে চলছে দমকল কেন্দ্র
না আছে আগুন নেভানোর প্রয়োজনীয় আধুনিক যন্ত্রপাতি। না আছে প্রয়োজনীয় গাড়ি। কর্মী সংখ্যাও প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য। পরিকাঠামো আর কর্মী সঙ্কটের জেরে ধুঁকছে কাঁথি দমকল কেন্দ্র। গত ৫ ফেব্রুয়ারি কাঁথি শহরের মনোহরচকে বিদ্যুৎ দফতরের গুদামে আগুন লাগার ঘটনায় বেহাল সেই অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা বেআব্রু হয়ে সামনে এসেছে। এই অবস্থায় দমকলকেন্দ্রে আদ্যিকালের যন্ত্রপাতির খোল-নলচে বদলের পাশাপাশি অত্যাধুনিক যন্ত্র ও প্রয়োজনীয় কর্মী আনানোর দাবি উঠছে নতুন করে।
কাঁথি শহরের কিশোরনগরে পুরসভার সাফাইকর্মীদের জন্য তৈরি হওয়া আবাসনের একাংশ ভাড়া নিয়ে ১৯৮৮ সালে কাঁথি দমকল কেন্দ্র চালু করা হয়। ২৬ বছর পরেও কাঁথির দমকল বাহিনী সেই ভাড়া বাড়ি থেকেই কোনও রকমে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। কাঁথি ও এগরা মহকুমার ৭টি বিধানসভা কেন্দ্র এলাকা অর্থাৎ ২টি পুরসভা, ১৩টি ব্লক আর ১০টি থানা এলাকার কোথাও আগুন লাগলে কাঁথি দমকলবাহিনীকেই ছুটে যেতে হয়। বাম সরকারের আমলে দিঘার কাছে রামনগর থানার নিমতলায় ও এগরা মহকুমা শহরে দু’টি দমকল কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হলেও আজ পর্যন্ত সেই কাজ সম্পূর্ণ হয়নি।
এত বড় একটা এলাকার জন্য সবেধন নীলমণি দমকলকেন্দ্রটিতে ন্যূনতম পরিকাঠামো না থাকায় সমস্যা বাড়ছে। কাঁথি দমকলকেন্দ্রে বতর্মানে যে দুটি ইঞ্জিনবাহী গাড়ি রয়েছে, তা প্রায় বাতিলের পর্যায়ে পড়ে। অধিকাংশ সময়ই একটি না একটি গাড়ি যান্ত্রিক গোলযোগে অচল হয়ে পড়ে থাকে। এমনকী কাঁথি দমকল কেন্দ্রে আগুন নেভানোর মতো আধুনিক যন্ত্রপাতিও নেই। নেই উচ্চ সিঁড়িযুক্ত কোনও গাড়ি। সৈকত পযর্টনকেন্দ্র দিঘা-সহ কাঁথি ও এগরা মহকুমায় বতর্মানে একাধিক বহুতল বাড়ি ও হোটেল রয়েছে। এই সব বহুতলে কোনও ভাবে আগুন লাগলে কাঁথি দমকল কেন্দ্রের পক্ষে তা সামলানো কঠিন। এ ছাড়া দমকলকেন্দ্রে পর্যাপ্ত কর্মীর অভাবও একটা বিরাট সমস্যা। কাঁথি দমকল কেন্দ্রের কর্মীরা প্রকাশ্যে এই নিয়ে মন্তব্য না করলেও কর্মী ও গাড়ি সঙ্কটের কথা মেনে নিয়েছেন।
কাঁথি দমকল কেন্দ্রের জন্য খাতায়-কলমে ৩৬ জন ফায়ার অপারেটার থাকার কথা। সেখানে বতর্মানে রয়েছেন মাত্র ২৩ জন। বাকি ১৩টি শূন্য পদে ৮ জন অস্থায়ী কর্মী নিয়ে কাজ সামলাতে হচ্ছে। নির্ধারিত দু’জন স্টেশন অফিসার থাকলেও ৪ জন সহকারী স্টেশন অফিসার নেই। দমকল কেন্দ্রের গাড়ি পরিষ্কার ও সাফাইকর্মীর পদও দীর্ঘ দিন ধরেই শূন্য পড়ে রয়েছে। পুরসভার ভাড়া বাড়িটির এখন জরাজীর্ণ দশা। ছাদ দিয়ে জল পড়ে বর্ষায়। দেওয়ালের পলেস্তরা খুলে-খুলে পড়ছে। কর্মীদের জন্য নেই বাসস্থানের সুবিধা। দীর্ঘ দিন আগে কাঁথি শহরে দমকলের নিজস্ব ভবন তৈরির জন্য দমকল দফতর জায়গা ঠিক করলেও আজ পর্যন্ত সেই জায়গায় দমকলের নিজস্ব ভবন গড়ে ওঠেনি। স্থানীয় বিধায়ক দিব্যেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, কাঁথির ঘটনাটির পরে রাজ্যের দমকলমন্ত্রী জাভেদ খান ও দমকল অধিকর্তা ডি পি তারানিয়া পর্যাপ্ত কর্মী ও আগুন নেভানোর অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছেন। অতীতের অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। তাই আশ্বাসে ভরসা নেই জনগণের।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.