শর্ট বল আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আগ্রাসনে শুরু হওয়া সিরিজের শেষেও ভারতের জন্য নিউজিল্যান্ডের উপহার ‘সবুজ স্বর্গোদ্যান’। যে উইকেটে গতি আর বাউন্স দুটোই থাকবে। শুক্রবার দ্বিতীয় ও সিরিজের শেষ টেস্ট শুরু হওয়ার আগে ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভ স্টেডিয়ামের কিউরেটর ব্রেট সিপথর্প সে রকমই ইঙ্গিত দিচ্ছেন।
গত চার দিন বৃষ্টির জন্য কভারে ঢাকা পিচের প্রস্তুতির কাজ বাধা পেয়েছে। বুধবার বৃষ্টি কমলে চূড়ান্ত প্রস্তুতির কাজ সারার ফাঁকে নিউজিল্যান্ড মিডিয়ায় সিপথর্প বলে দেন, “মনে হয় না উইকেট দেখলে ভারতীয় শিবির খুশি হবে।”
কেন? কারণ, প্রাণবন্ত উইকেট তৈরি করতে সিদ্ধহস্ত সিপথর্প। ডিসেম্বরের সিরিজে তার তৈরি করা পিচেই বেসিন রিজার্ভে এক ইনিংস আর ৭৩ রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ল্যাজেগোবরে করেছিলেন ব্রেন্ডন ম্যাকালামরা। কিউরেটরের কাছে মহেন্দ্র সিংহ ধোনিদের বিরুদ্ধেও একই রকম উইকেট তৈরি করার অনুরোধ এসেছে নিউজিল্যান্ড শিবিরের।
|
|
“আমাদের মাথায় ক্লিন সুইপই ঘুরছে। তবে ওরাও খুব ভাল টিম।
দুর্দান্ত
প্লেয়ার
রয়েছে ওদের।
টেস্ট জিতেই সিরিজটা শেষ করতে
ওরাও মরিয়া চেষ্টা করবে।
আশা করছি ভারতকে এই সিরিজে
জিততে না দেওয়ার
লক্ষ্য পূরণ করতে পারব আমরা।” —টিম সাউদি |
|
সিপথর্পও ‘অনুরোধ’ রাখার চেষ্টার ত্রুটি রাখছেন না সেটা তাঁর কথাতেই স্পষ্ট, “আমাদের লক্ষ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ যে উইকেটে খেলেছে অবিকল সে রকম উইকেট তৈরি করা। পেসাররা যে উইকেট থেকে সাহায্য পাবেন। আমরা যতটা সম্ভব উইকেটে ঘাস রাখার চেষ্টা করব। তাই টস যে জিতবে নিশ্চিত ভাবেই ফিল্ডিং করতে চাইবে প্রথমে। এখন যা আবহাওয়া তাতে এই উইকেটে স্পিনাররা খুব একটা সুবিধা করতে পারবেন না। তাই বাউন্সটাই এই উইকেটে সাফল্যের চাবি।”
তবে যতই সবুজ উইকেটে ফেলে ধোনিদের ভাজা ভাজা করার পরিকল্পনা থাক না কেন, প্রথম টেস্ট ৪০ রানে হারায় দ্বিতীয় টেস্টে বিরাট কোহলিরা যে ফিরে আসার মরিয়া চেষ্টা করবেন, সে ব্যপারটাও মাথায় রাখছে নিউজিল্যান্ড শিবির। নিউজিল্যান্ডের ফাস্ট বোলার টিম সাউদি এ দিন বলে দেন, “আমাদের মাথায় ক্লিন সুইপই ঘুরছে। তবে ওরাও খুব ভাল টিম। দুর্দান্ত প্লেয়ার রয়েছে ওদের। টেস্ট জিতেই সিরিজটা শেষ করতে ওরাও মরিয়া চেষ্টা করবে। আশা করছি ভারতকে এই সিরিজে জিততে না দেওয়ার লক্ষ্য পূরণ করতে পারব আমরা।”
আর উইকেট? সাউদি বলে দেন, “এখন পিচ আর আউটফিল্ডের মধ্যে পার্থক্য খুঁজে পাওয়াটা কঠিন। দুটোই সবুজ। দেখতে হবে ম্যাচের দিন সকালে উইকেটের অবস্থা কী দাঁড়ায়। তবে আমাদের বোলারদের এ রকম উইকেট দেখে মাঠে নামতে আর তর সইছে না।” |