চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে এসেছিলেন এক যুবক। তাকে দেখেই আঁতকে ওঠেন কর্তব্যরত এক নার্স। মুখখানা যেন খুব চেনা চেনা। মনে পড়ে, মাসখানেক আগে এই যুবকই আবাসনে ঢুকে তাঁর শ্লীলতাহানি করে পালায়। পড়ে গিয়ে চোট পান অন্তঃসত্ত্বা ওই নার্স। তাঁর চিকিৎসা হয় কলকাতায়। পুলিশ এত দিনেও ধরতে পারেনি অভিযুক্তকে।
বুধবার সকালে ব্যান্ডেল থার্মাল পাওয়ার হাসপাতালে সেই যুবককেই দেখতে পেয়ে সুযোগ হাতছাড়া করেননি ওই নার্স। হইচই করে সহকর্মীদের জড়ো করেন। ধরে ফেলা হয় জয়দেব বিশ্বাস নামে বছর চৌত্রিশের ওই যুবককে। পরে পুলিশ আসে। যে প্রয়োজনে হাসপাতালে এসেছিল জয়দেব, সেই চিকিৎসার পরে পুলিশ গ্রেফতার করে তাকে। তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, জেরায় অভিযোগ স্বীকার করেছে জয়দেব। এ দিন ধৃত যুবককে চুঁচুড়া আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ১৪ দিন জেলহাজতের রাখার নির্দেশ দেন। হুগলির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) তথাগত বসু বলেন, “ওই যুবককে শনাক্তকরণের জন্য টিআই প্যারেডের ব্যবস্থা করা হবে।”
ওই নার্স থাকেন ব্যান্ডেল থার্মাল পাওয়ারের আবাসনে। ১৪ জানুয়ারি স্নানের পরে কাপড় শুকোতে দিতে বাইরে বেরিয়েছিলেন। তখন হনুমান টুপি পরা এক যুবক তাঁকে পিছন থেকে এসে জাপটে ধরে। ধস্তাধস্তিতে পড়ে যান তরুণী। তাঁর চিৎকারে ছুটে আসেন রক্ষীরা। পাঁচিল টপকে পালায় ওই যুবক। তাড়াহুড়োয় নিজের জুতো ফেলে যায়। পুলিশের দাবি, জয়দেবকে দেখানো হয়েছিল সেই জুতো। তা নিজের বলে শনাক্ত করেছে সে।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় মামা বলাই বিশ্বাসকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এসেছিল ত্রিবেণীর বান্দাপাড়ার বাসিন্দা জয়দেব। সে মাছ ধরে। পড়ে গিয়ে মাথায় চোট পেয়েছিল। জয়দেবকে দেখে সন্দেহ হয় ওই নার্সের। তিনি পরে বলেন, “ছেলেটিকে দেখেই হকচকিয়ে যাই। আমাকে দেখে সে-ও অস্বস্তিতে পড়ে। এ দিক ও দিক তাকাচ্ছিল। তখনই নিশ্চিত হই, এই সেই লোক।”
জয়দেবের মামা বলাই বিশ্বাস বলেন, “ও বিয়ে করেছে। সংসার আছে। এমন কাজ করতে পারে বলে বিশ্বাসই করি না। একটা ভুল হচ্ছে।” |