|
|
|
|
সুবর্ণরেখা থেকে অবাধে বালি তুলছে মাফিয়ারা |
প্রবাল গঙ্গোপাধ্যায় • রাঁচি
১২ ফেব্রুয়ারি |
সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না-করে সুবর্ণরেখা নদী থেকে বালি তুলছে মাফিয়ারা। অভিযোগ, সব জেনেও নিরুত্তাপ জামশেদপুর জেলা প্রশাসন।
নদীর কয়েকটি নির্দিষ্ট জায়গা থেকে বালি তোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার। টেন্ডারেও সে কথার উল্লেখ থাকে। কিন্তু বাস্তবের ছবিটা অন্য। টেন্ডার-নির্দিষ্ট এলাকার বদলে নদীর অন্য জায়গা থেকে আইন ভেঙেই বালি তোলা হচ্ছে। সরকারি সূত্রের খবর, সুবর্ণরেখার তীরে গাঁধী ঘাট, দোমুহানি, বাবুলি ঘাট, বিষ্টুপুর বোধনওয়ালা ঘাটে বালি তোলার টেণ্ডার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার বদলে মানগো ওয়াকার্স কলেজের সামনে নদীর চর থেকে অবাধে বালি তোলা হচ্ছে। বাজারে চড়া দামে তা বিক্রি করছে বালি মাফিয়ারা। |
|
সুবর্ণরেখা থেকে এ ভাবেই লুট হচ্ছে বালি। ছবি: পার্থ চক্রবর্তী। |
রাজ্যে বালি মাফিয়াদের দাপট ঠেকাতে, বালিঘাট নিলাম করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। প্রশাসনের বক্তব্য ছিল, তাতে নদীবক্ষের প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখা সম্ভব হবে। রাজকোষেও অর্থ আসবে। ক্ষমতাসীন ঝাড়খণ্ড সরকার বালি ঘাটগুলির জন্য ‘গ্লোবাল টেণ্ডার’ করেছিল। অন্য রাজ্যের কয়েকটি সংস্থাও সুবর্ণরেখা থেকে বালি তুলতে শুরু করে। লোকসানের আশঙ্কায় সরকারকে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিতে থাকে স্থানীয় বালি ব্যবসায়ীরা। বালি ঘাটের নিলাম মুলতুবি করে দিতে বাধ্য হয় সরকার। বালির অভাবে রাজ্য জুড়ে নির্মাণের কাজকর্ম কয়েকদিন বন্ধ ছিল। সম্প্রতি ফের নিলাম করা শুরু হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য এখনও বন্ধ হয়নি। সুবর্ণরেখার আশপাশের বাসিন্দাদের অভিযোগ, মানগো ওয়ার্কাস কলেজের সামনে নদী থেকে অবাধে উঠছে বালি। নদীর তীরের দিকে জল সরিয়ে বালির ছোট স্তুপ তৈরি করা রয়েছে। মহিলারা দলে দলে মাথায় ঝুড়ি কিংবা বস্তা নিয়ে নদী থেকে বালি তুলছেন।
পূর্ব সিংভূম জেলার ডেপুটি কমিশনার অমিতাভ কৌশল বলেন, “এ নিয়ে কোনও অভিযোগ পাইনি। পূর্ব সিংভূমে চারটি বালি ঘাটের নিলাম করা হয়েছে। তা ছাড়া অন্য কোনও জায়গা থেকে বালি তোলা হয় তা একেবারেই বেআইনি।” |
|
|
|
|
|