|
|
|
|
রেল বাজেটে মন ভরেনি ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দাদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি
১২ ফেব্রুয়ারি |
ভরেও ভরল না মন!
রেল বাজেটের পর এমনই প্রতিক্রিয়া ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দাদের। আজ দিল্লিতে পেশ হওয়া বাজেটে তাঁদের জন্য জুটেছে একটি সাপ্তাহিক এক্সপ্রেস এবং একটি স্বল্প দুরত্বের রুটের প্যাসেঞ্জার ট্রেন।
রাঁচি-নিউ জলপাইগুড়ি (সাপ্তাহিক) আর টাটা-চাকুলিয়া প্যাসেঞ্জারএ বারের বাজেটে এই দু’টি নতুন ট্রেন নিয়েই সন্তুষ্ট থাকছে হচ্ছে রাজ্যবাসীকে। তাঁদের একাংশ বলছেন, নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের পরিষেবা চালু হলে উত্তরবঙ্গের পাহাড়ে সহজেই বেড়াতে যাওয়া যাবে। কিন্তু দেশের অন্য গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলিতে যাওয়ার ট্রেন চালু করলে আরও বেশি সুবিধা হতো। সেই নিরিখে এ বারও ঝাড়খণ্ড বঞ্চিত হয়েছে বলেই তাঁদের দাবি। তাঁদের বক্তব্য, দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাইয়ের মতো দেশের অন্য গুরুত্বপূর্ণ শহরে যাওয়ার জন্য কয়েকটি ট্রেনের ঘোষণা করা হলে অনেকটাই সুবিধা হতো।
ঝাড়খণ্ডের রেল আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, দার্জিলিং বা সিকিম যাএয়ার জন্য এত দিন সরাসরি রাঁচি থেকে কোনও ট্রেন ছিল না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যাত্রীরা কলকাতা গিয়ে উত্তরবঙ্গের ট্রেন ধরতে বাধ্য হতেন। না-হলে, জামশেদপুর থেকে উত্তরবঙ্গে যেতে হত। এ বার রাঁচি থেকে সরাসরি উত্তরবঙ্গগামী ট্রেন পরিষেবা শুরু হওয়ায় রাজ্যের পর্যটকদের সুবিধা হবে। রেল জানিয়েছে, রাঁচি থেকে রওনা দিয়ে বিহারের ঝাঁঝা ও কাটিহার হয়ে নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছবে নতুন ওই এক্সপ্রেস ট্রেন।
রাজ্যের পর্যটন দফতর সূত্রে খবর, প্রতি বছর এ রাজ্যের ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ মানুষ ডুয়ার্স, দার্জিলিং বা সিকিমে বেড়াতে যান।
অন্যদিকে, টাটা-চাকুলিয়া প্যাসেঞ্জার চালু হওয়ায় স্বস্তিতে নিত্যযাত্রীরা হাওড়া থেকে ঘাটশিলা পর্যন্ত লোকাল ট্রেন রয়েছে। ঘাটশিলা পৌঁছনোর পরে ঘণ্টাদু’য়েক বাসে ভাঙাচোরা জাতীয় সড়ক দিয়ে জামশেদপুর পৌঁছতে হয়। নতুন ওই ট্রেন চালু হলে চাকুলিয়ায় নেমেই টাটানগরের ট্রেন পাওয়া যাবে।
তবে, রেল বাজেটে খুশি হতে পারেনি রাজ্যের বনিক মহল। তাঁদের বক্তব্য, বাজেটে প্রতিবারই রাজ্যকে বঞ্চিত করা হয়। ‘ফেডারেশন অফ ঝাড়খণ্ড চেম্বার অফ কর্মাস’-এর মহাসচিব পবনকুমার শর্মা বলেন, “মুম্বইয়ের মতো শহরে কম সময়ে পৌঁছে দেবে, এমন দ্রুতগামী ট্রেন এ রাজ্যে নেই। সেটাই এখন সবারই খুব প্রযোজন। কিন্তু এ বারও তা জুটল না।”
রেল বাজেটের প্রেক্ষিতে রাজ্যবাসীর ক্ষোভের আঁচ টের পাচ্ছে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। বিরোধী বিজেপি, আজসু, জেভিএম এই বাজেটকে সমর্থন করেনি। ফলে, এক দিকে দলের ভাবমূর্তি বজায় অন্য দিকে, সাধারণ মানুষের সমস্যাদু’য়ের মধ্যেই সামঞ্জস্য রাখতে চাইছেন তাঁরা। রেল বাজেট নিয়ে দলের মুখপাত্র শৈলেশ সিংহ সাংবাদিকদের বলেন, “দু’টি নতুন ট্রেন মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত মানুষের দিকে তাকিয়েই চালু করা হয়েছে। রাজ্যের অনেকেই দাজির্লিং ঘুরতে যেতে চান। তাঁরা এ বার সরাসরি সেখানে পৌঁছতে পারবেন।” একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, “অন্য রাজ্যের তুলনায় অবশ্য ঝাড়খণ্ড অনেকটাই কম পেয়েছে। তা-ই আমরাও মন থেকে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারিনি।” |
|
|
|
|
|