জলপাইগুড়ি পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের উপর হামলার অভিযোগ ঘিরে কংগ্রেস ও তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে ত চাপানউতোর চলছে। অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগে গোলমালের আশঙ্কা দেখা দেয়। সোমবার রাতে জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি সৈতক চট্টোপাধ্যায়ের মা চিত্রা দেবী তথা পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলারের উপর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যনের নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ ওঠে। তৃণমূল ওই অভিযোগ তুলে কোতোয়ালি থানায় দ্বারস্থ হন। কংগ্রেস নেতৃত্বের অভিযোগ, পুলিশ ওই অভিযোগ পেয়ে রাজীব রায় ও তমাল সিংহ নামে তাঁদের দুই সমর্থকে গ্রেফতার করেছে।
কিন্তু তাঁরা অভিযোগ জানাতে গেলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার দিনভর দুই দলের নেতা ও কর্মীদের মধ্যে ওই ঘটনাকে ঘিরে চাপানউতর চলে। দুপুর নাগাদ থানা চত্বরে তাঁরা বচসায় জড়িয়ে পড়লে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার আইসি অভিজি দাস বলেন, “অভিযোগ নেওয়া হচ্ছে না এটা ঠিক কথা নয়। দুই পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে দুটি মামলা রুজু হয়েছে।”
জেলা কংগ্রেস সভাপতি নির্মল ঘোষ দস্তিদার এ দিন জানান, জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি তাঁর মায়ের প্ররোচনায় সোমবার রাতে পুরসভার চেয়ারম্যানকে মারতে যান। দলীয় সভা ভণ্ডুল করে দেন। সেখান থেকে ফিরে মিথ্যা অভিযোগ তুলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার দুপুরনাগাদ কংগ্রেস নেতৃত্ব থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে যুব তৃণমূলের ছেলেরা তাঁদের হেনস্থা করে বলেও অভিযোগ। যদিও ওই অভিযোগ অস্বীকার করেন জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়। |