গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্য জুড়েই তৃণমূলের একাধিপত্য ছিল। কিন্তু আগামী লোকসভা নির্বাচনে ছবিটা বদলাবে বলে দাবি করলেন সদ্য প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্বপ্রাপ্ত অধীর চৌধুরী। ওড়িশার বালেশ্বরে রেলের একটি অনুষ্ঠান সেরে হাওড়া ফেরার পথে মঙ্গলবার খড়্গপুরে নেমেছিলেন রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর। সেখানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনে তো আমরা প্রার্থীই দিতে পারিনি। লোকসভা নির্বাচনে তা হবে না। স্বাভাবিকভাবে ফলাফলে পরিবর্তন হবেই। কোথায় পঞ্চায়েত, কোথায় লোকসভা আসমান-জমিনের ফারাক।”
সোমবারই প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি পদ থেকে প্রদীপ ভট্টাচার্যকে সরিয়ে অধীর চৌধুরীকে স্থলাভিষিক্ত করা হয়। তারপর এ দিন নতুন প্রদেশ সভাপতিকে কাছে পেয়ে স্টেশন চত্বরেই সংবর্ধনা জানান পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব। উপস্থিত ছিলেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি বিকাশ ভুঁইয়া, জেলা নেতা অমল দাস, আইএনটিইউসি সভাপতি প্রদীপ পাল প্রমুখ। লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের সঙ্গে জোটের সম্ভাবনা এ দিন খারিজ করে দিয়েছেন অধীরবাবু। জোট-নিয়ে প্রশ্নের জবাবে অধীরবাবু বলেন, “জোটের কোনও প্রশ্নই নেই।” কংগ্রেসের থেকে যাঁরা দূরে সরে গিয়েছেন, তাঁদের ফেরানোর চেষ্টা হবে বলেও জানিয়েছেন অধীরবাবু। তাঁর কথায়, “কংগ্রেসের প্রতি যাঁদের ক্ষোভ রয়েছে, তাঁদের ফের দলে আসার জন্য আহ্বান করা আমার কাজ বলে মনে করি। সংগঠনটাকে তো আর ভেলকিবাজি করে বদলাতে পারব না। এটা একটা প্রক্রিয়া। রাতারাতি তা হবে না।” |
এ দিন খড়্গপুর ঢোকার আগে বেলদায় দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয় রেল প্রতিমন্ত্রীর বিশেষ ট্রেনটিকে। বেলদা ‘ফেডারেশন অফ ট্রেডার্স অর্গানাইজেশনে’র পক্ষ থেকে সেখানে অধীরবাবুকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন জেলা কংগ্রেস সভাপতি স্বপন দুবে। বেলদা স্টেশনের উপর নারায়ণগড়, দাঁতন, কেশিয়াড়ি, সবং ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা নির্ভরশীল। কিন্তু এই স্টেশন থেকে সরাসরি হাওড়া যাওয়ার একটিমাত্র লোকাল ট্রেন চলে। এ ছাড়া ইস্টকোস্ট, জগন্নাথ, ধৌলি ও ভেল্লপুরম এক্সপ্রেস বেলদা স্টেশনে দাঁড়ায়। এ দিন রেল প্রতিমন্ত্রীকে কাছ থেকে পেয়ে রেলযাত্রী সুরক্ষা কমিটি ও ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে নতুন একটি হাওড়া লোকাল এবং যশবন্তপুর এক্সপ্রেস, পুরুষোত্তম এক্সপ্রেস, হাওড়া-ভুবনেশ্বর জনশতাব্দী এক্সপ্রেস বেলদায় দাঁড় করানোর দাবি জানানো হয়। রেলযাত্রী সুরক্ষা সমিতির পক্ষে রামলাল রাঠি বলেন, “বেলদা থেকে প্রায় ৫ কোটি টাকার ব্যবসা হয় রেলের। ওই ট্রেনগুলি দাঁড়ালে রেলের আয় যেমন বাড়বে, তেমনই যাত্রী ও ব্যবসায়ীদের সুবিধা হবে। অধীরবাবু দাবি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন। |