স্কুলছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করায় দুই যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মঙ্গলবার দুপুরে রানিনগর থানার শেখপাড়ার বাবুলতলি খলিলুর রহমান বিদ্যানিকেতনের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত নুরজামান ও শুকচাঁদ শেখ ওই এলাকারই বাসিন্দা। স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার স্কুল শুরুর পর থেকেই স্কুল চত্বরে ঘোরাফেরা করছিল নুরজামান আর শুকচাঁদ। এমনকী তারা রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে মোবাইলের ক্যামেরায় ক্লাসে থাকা ছাত্রীদের ছবি তুলছিল বলেও অভিযোগ। সেই সময় শ্রেণিকক্ষে কোনও শিক্ষক ছিলেন না। সেই ফাঁকে ক্লাস থেকে বেরিয়ে গিয়ে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী স্কুলের কাছেই বাড়িতে গিয়ে অভিভাবকের কাছে বিষয়টি জানায়। ঘটনার কথা শুনে আসেন ওই ছাত্রীর বাবা এবং হাতেনাতে ধরে ফেলেন নুরজামানকে। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় প্রধান শিক্ষকের ঘরে। সেখানে ওই যুবককে বাঁচাতে আসে শুকচাঁদ শেখ নামের আর এক যুবক। ইতিমধ্যে ছুটে আসেন কয়েকজন অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই ওই দুই যুবককে গাছে বেঁধে পুলিশে খবর দেন।
স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি নাসিমুদ্দিন সরকার বলেন, “কো-এডুকেশন স্কুল হওয়ায় ছাত্রদের সঙ্গে প্রায় বহিরাগত কিছু যুবক স্কুলে আসে। এর আগে এমন ঘটনা ঘটলেও বিষয়গুলি এত দূর এগোয়নি।” যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ বলেন, “আমাদের স্কুল পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। ফলে বহিরাগতদের ভেতরে আসার সুযোগ নেই। তবে রাস্তায় বা খেলার মাঠে ছেলেদের আনাগোনা রয়েছে। সেখানেই হয়ত এমন ঘটেছে।” ডোমকলের এসডিপিও অরিজিত সিংহ বলেন, “ছাত্রীদের উক্ত্যক্ত করায় দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।” |