এই পার্কে শিশুদের প্রবেশ নিষেধ। এখানে থাকবে না কোনও কোলাহল, মোবাইল ফোনের তীক্ষ্ম রিংটোন। তার বদলে বাজবে রবীন্দ্রসঙ্গীত, আর থাকবে বয়স্কদের জটলা, গল্পগাছা আর আড্ডা। মঙ্গলবার দুপুরে শান্তিপুরে বয়স্কদের জন্য এমনই এক পার্কের উদ্বোধন করলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধায়। পার্কের নামকরণ হল ‘রবীন্দ্র কানন’। শান্তিপুরের পুরপ্রধান অজয় দে জানান, প্রায় ৮১ লক্ষ টাকা খরচ করে শান্তিপুর পুরসভার পাশেই পার্কটি তৈরি করা হয়েছে। শহরে শিশু, যুবক-যুবতীদের জন্য রয়েছে পার্ক, নানা বিনোদনের ব্যবস্থা। কিন্তু বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের জন্য শহরে তেমন বিনোদন যাপনের অবকাশ ছিল না। বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাস্তা দিয়ে একা একা হেঁটে যাওয়া বা চায়ের দোকানে ভিড়ের মধ্যে কোনওরকমে সময় কাটিয়ে আবার ফিরে যেতে হত বাড়িতে। নিরালায় বসে সময় কাটানোর সুযোগ এ বার করে দিল শান্তিপুর পুরসভা। |
পার্কের উদ্বোধনের পাশাপাশি এ দিন পার্কে রবীন্দ্রনাথের মূর্তির আবরণ উন্মোচনও করেন বিমানবাবু। তিনি বলেন, “আমরা শুধু সমাজের বয়স্ক মানুষদের জন্য খাবার আর চিকিৎসার কথাই ভাবি। কিন্তু তাদের মনের শান্তির কথাও যে ভাবার প্রয়োজন এই পার্কই তার প্রমাণ।” বয়স্কদের জন্য এই পার্কের উল্টোদিকেই রয়েছে শিশুদের জন্য একটা পার্ক। তাই পুরপ্রধানের আবেদন, “দয়া করে এই পার্কে শিশুদের নিয়ে আসবেন না। আমরা চাই না কোনও ভাবে এই পার্কের পরিবেশ কোলাহলমুখর হয়ে উঠুক। এটা শুধু বয়স্কদের জন্যই।”
সব শুনে উচ্ছ্বসিত শহরের বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা। স্থানীয় বাসিন্দা দীপক প্রামাণিক, নিরঞ্জন দাসরা বলেন, “এতদিন পরে আমরা একটি নিজের মত করে নিশ্বাস নেওয়ার একটা অবকাশ পেলাম। আমাদের মতো বৃদ্ধ মানুষগুলোর জন্য এ বার ইট কাঠ পাথরের শহরে ফুসফুসের ব্যবস্থা করল আমাদের শান্তিপুর পুরসভা। তার জন্য তাদের ধন্যবাদ।” |