|
|
|
|
মাধ্যমিকে নতুন ৫টি কেন্দ্র পশ্চিমে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
মাধ্যমিক পরীক্ষা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে পরীক্ষাগ্রহণ কেন্দ্র বাড়াল পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা মনিটরিং কমিটি। গত বার জেলায় পরীক্ষাগ্রহণ কেন্দ্র ছিল ১৪৩টি, এ বার ৫টি বেড়ে তা দাঁড়াল ১৪৮টিতে। এর ফলে, পরীক্ষার্থীদের সুবিধে হবে বলেই মনে করছে পর্ষদ।
আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে মাধ্যমিক পরীক্ষা। চলবে ৬ মার্চ পর্যন্ত। পরীক্ষা সুষ্ঠু ভাবে করতে মঙ্গলবার মেদিনীপুরে প্রস্তুতি বৈঠক হয়। সকালে বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠে (বালিকা) সেন্টার-ইনচার্জদের নিয়ে বৈঠক হয়। দুপুরে কালেক্টরেটের সভাকক্ষে আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক হয়। উপস্থিত ছিলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রশাসক কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) সুশান্ত চক্রবর্তী, শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্র প্রমুখ।
|
|
মাধ্যমিকের প্রস্তুতি বৈঠক। |
ছাত্র জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা মাধ্যমিক। ফলে, এই পরীক্ষা নিয়ে পড়ুয়াদের উদ্বেগ থাকেই। চিন্তিতি থাকেন অভিভাবকরাও। স্কুল থেকে ক’য়েক কিলোমিটার দূরে পরীক্ষাগ্রহণ কেন্দ্র হলে অনেক সময় সমস্যার সৃষ্টি হয়। বাস-ট্রেকার-অটো কিংবা মোটর সাইকেলে ওই পথ যেতে ভোগান্তির শেষ থাকে না। ফলে পরীক্ষা শুরুর আগে ক্লান্তি তৈরি হয়। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে পরীক্ষাগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বলে পর্ষদ সূত্রে খবর। ২০১২ সালে পশ্চিম মেদিনীপুরে পরীক্ষাগ্রহণ কেন্দ্র ছিল ১২৯টি। ২০১৩ সালে ১৪৩টি। আর এ বার তা বেড়ে হল ১৪৮টি। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের জেলা মনিটরিং টিমের আহ্বায়ক নির্মলেন্দু দে বলেন, “পড়ুয়াদের সুবিধের জন্য পরীক্ষাগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হল।”
গত বছরের তুলনায় পরীক্ষার্থী সংখ্যার সামান্য হেরফের হয়েছে। ২০১৩ সালে পশ্চিম মেদিনীপুরে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৬৯ হাজার ৩৬১। তার আগের বছর অর্থাত্, ২০১২ সালে ৬৭ হাজার ৮৬৪। এ বার সেখানে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬৯ হাজার ৩৩১। এর মধ্যে ছাত্র ৩৪ হাজার ১৫৬, ছাত্রী ৩৫ হাজার ১৭৫। অর্থাত্, ছাত্রের থেকে ছাত্রীর সংখ্যা বেশি। মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের ২২ জন বন্দি এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবেন। সকলেই সাজাপ্রাপ্ত। গত বছর ২৯ জন বন্দি মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
এ বার কিছু পরীক্ষাগ্রহণ কেন্দ্রকে ‘স্পর্শকাতর’ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্ণিত করা হয়েছে। এই সব কেন্দ্রে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা থাকছে। গত বছর যে সব কেন্দ্রে সামান্য উত্তেজনা ছড়িয়ে ছিল, এ বার সেই সব কেন্দ্রেও বিশেষ নজরদারি থাকবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে যাতে পানীয় জল, শৌচাগারের সুষ্ঠু ব্যবস্থা থাকে, সময়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়, মঙ্গলবারের বৈঠকে সে সব নিয়ে আলোচনা হয়। পরীক্ষার দিনগুলোয় বাস পরিবহণ ব্যবস্থা অন্য দিনের মতো রাখার আর্জি জানিয়েছে পর্ষদ। শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্র বলেন, “পরীক্ষার্থীরা যাতে কোনও রকম সমস্যার মধ্যে না-পড়ে, তার জন্য সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সুষ্ঠু ভাবে পরীক্ষা-পর্ব সম্পন্ন করতে সব রকম পদক্ষেপও করা হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|