নতুন আইসিসি চেয়ারম্যান হিসেবে নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসনের প্রধান লক্ষ্য হতে চলেছে, ক্রিকেটের তিন ফর্ম্যাটকেই সমান জনপ্রিয় করা। “আমার কাছে তিনটে ফর্ম্যাটই সমান গুরুত্বপূর্ণ। ক্রিকেটের উন্নতির জন্য এই তিনটে ফর্ম্যাটেরই সমান দেখভাল করতে হবে,” বলেছেন শ্রীনিবাসন। সঙ্গে যোগ করেছেন, “আইসিসি-র নতুন পদক্ষেপ ক্রিকেটবিশ্বে স্থায়িত্ব আনবে। ক্রিকেট খেলিয়ে দেশগুলোর আর্থিক উন্নতির জন্য এই পদক্ষেপ খুব জরুরি ছিল।সদস্য দেশগুলো এ বার আরও বেশি উপার্জন করতে পারবে। পরিকাঠামোর এই বদলটা খুব দরকার ছিল। ফিউচার ট্যুরস প্রোগ্রামে বদল আনাটাও জরুরি ছিল।”
আইসিসি-তে শ্রীনিদের আনা প্রস্তাব পাশ করানোর ব্যাপারে প্রথম দিকে দক্ষিণ আফ্রিকা বিরোধিতা করলেও পরে তারা শ্রীনিদের সমর্থনে ভোট দেয়। বিরোধী জোটের বাকি দুই দেশ পাকিস্তান আর শ্রীলঙ্কা অবশ্য ভোট দেয়নি। পাকিস্তান নিয়ে মন্তব্য না করলেও শ্রীলঙ্কা প্রসঙ্গে শ্রীনি বলেছেন, “শ্রীলঙ্কা বোর্ড স্বাধীন ভাবে সিদ্ধান্ত নিতেই পারে। কিন্তু আমার মনে হয়, ওদের বোঝা উচিত খেলার উন্নতির স্বার্থে কী করা দরকার।” নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে অজিঙ্ক রাহানের আউট প্রসঙ্গে ডিআরএস নিয়ে মুখ খুলেছেন শ্রীনি। বলেছেন, “সিদ্ধান্তটা দুর্ভাগ্যজনক ছিল। কিন্তু ডিআরএস নিয়ে আমাদের মতামত বরাবরই এক থেকে এসেছে। বল-ট্র্যাকার বা হটস্পট, কোনওটাই নিখুঁত নয়। ২০১১ ইংল্যান্ড সফরে তো রাহুল দ্রাবিড়ের বুটের ফিতেয় বল লেগেছিল আর হটস্পট ‘নিক’ দেখিয়েছিল।” তবে গুরুনাথ মইয়াপ্পন প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেননি শ্রীনি। যেহেতু সেটা এখনও আদালতের বিচারাধীন। |