পুকুর রয়েছে। কিন্তু গরমে সেখানে জল থাকে না বললেই চলে। জলে দূষণের পরিমাণ এতটাই বেশি যে পুকুরে মাছ চাষ করলে মাছ মারা যাচ্ছে। দুর্গাপুর পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের রাঁচি কলোনির পাথুরি পুকুরের অবস্থা এমনই। দীর্ঘ দিন সংস্কারের অভাবে প্রায় মজে গিয়েছে এই পুকুরটি। এলাকায় গিয়ে দেখা গিয়েছে, পুকুরের চারপাশে জড়ো হয়ে রয়েছে আবর্জনা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বহু পুরনো এই পুকুরে আগে এলাকার বাসিন্দারা দৈনন্দিন কাজ করতেন। কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরে এই পুকুরের জল ব্যবহার করা যাচ্ছে না। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই পুকুরটির কোনও দিন সংস্কার হয়নি। |
রাঁচি কলোনির পুকুর। —নিজস্ব চিত্র। |
এলাকার বাসিন্দা তপন রুইদাস, বিধান রুইদাসরা জানান, বর্তমানে পুকুরটি ব্যবহার না হওয়ার কারণে সবাই পুকুরের পাড়েই আবর্জনা ফেলছেন। এর ফলে পুকুরটি বর্তমানে আস্তে আস্তে মজে যাচ্ছে। গরম পড়লে এই পুকুরের জল প্রায় শুকিয়ে যায়। তবে অন্য সময়ে এলাকার কোথাও হঠাৎ করে আগুন লাগলে সেটি নেভানোর জন্য প্রাথমিক ভাবে এই পুকুরের জলই ব্যবহার করা হয়। পুকুরটি যদি মজে যায় তাহলে আগুন লাগলে নেভানোর সেটা নেভানোর জন্য পুরোপুরি দমকলের উপর নির্ভর করতে হবে বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, পুকুরটি সংস্কারের জন্য পুরসভার কাছে বার বার আবেদন জানালেও কাজ হয়নি। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, যদি পুকুরটি সংস্কার করে চারিদিক ঘিরে দিলেই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে। স্থানীয় বাসিন্দা জগাই রুইদাস জানান, পুকুরের জল বর্তমানে এতটাই দূষিত হয়ে গিয়েছে যে এখানে মাছ চাষ করলে সেই মাছ মারা যাচ্ছে। তিনি বলেন, “পুকুরটি যদি সম্পূর্ণ সংস্কার করা হয় তাহলে এলাকার কিছু বেকার যুবক এখানে মাছ চাষ করে রোজগার করতে পারবে।” স্থানীয় কাউন্সিলর চন্দন সাহা বলেন, “ব্যক্তিগত ভাবে উদ্যোগ নিয়ে পুকুরটি সংস্কারের ব্যবস্থা করব।” |