|
|
|
|
নবীনকে বিঁধতে বাবা বিজুই অস্ত্র মোদীর |
নিজস্ব প্রতিবেদন
১১ ফেব্রুয়ারি |
ওড়িশায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ককে তুলোধোনা করতে তাঁর বাবা বিজু পট্টনায়কের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন নরেন্দ্র মোদী। বললেন, বিজুবাবুর স্বপ্নের ওড়িশা গড়তে দিল্লিতে বিজেপির সরকার আনুন। এ নিয়েই ধন্দে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের সংশয় এই সূক্ষ্ম ভেদাভেদ আম-জনতা কতখানি বুঝবেন?
মোদী বলেন, “নবীনের শাসনকালে ওড়িশায় কোনও উন্নয়ন হয়নি। গরিব থেকে আরও গরিব হয়েছে রাজ্য। বিজুবাবু বেঁচে থাকলে ওড়িশার এই হাল দেখে দুঃখ পেতেন। বিজুবাবুর স্বপ্নের ওড়িশা তৈরি করতে হলে দিল্লিতে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনুন। সেটাই হবে বিজুবাবুর প্রতি ওড়িশাবাসীর সঠিক শ্রদ্ধা জ্ঞাপন।” নবীনকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “কংগ্রেসকে বাঁচাতে ওঁরা এখন তৃতীয় মোর্চা তৈরি করছেন। সময় এসেছে, বিজেডিকে শিক্ষা দিন।” নবীনকে কটাক্ষ করে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “গুজরাতে কর্মরত ওড়িশার পরিযায়ী শ্রমিকরা মূলত নবীনের এলাকা গঞ্জামের লোক। বিজেপি ক্ষমতায় এলে কোনও ওড়িশাবাসীকেই আর ভিন রাজ্যে কাজ খুঁজতে যেতে হবে না।” মোদী এবং নবীন, দু’জনেই ১৪ বছর ধরে মুখ্যমন্ত্রী। এক জন গুজরাতে, অন্য জন ওড়িশায়। মোদী বলেন, “আমার রাজ্য যেখানে এগিয়ে চলেছে, পিছিয়ে পড়ছে ওড়িশা।”
ভিড়ের নিরিখে ভুবনেশ্বরে মোদীর সভাকে সফল বলা যায়। সংগঠিত সভা। তবে ওড়িশায় দলের সংগঠন তত মজবুত নয়। যে কারণে নবীনের সঙ্গে জোট ভেঙে যাওয়ার পর বিধানসভায় এক ধাক্কায় ৬৩ থেকে ৬ বিধায়কে নেমে এসেছে বিজেপি।
ভুবনেশ্বর থেকে নয়াদিল্লি ফিরে রাতে দলের সাংসদদের সঙ্গে নৈশভোজ সারেন মোদী। বিভিন্ন রাজ্যের সাংসদদের পরামর্শ শোনেন। মহারাষ্ট্রের এক সাংসদ বলেন, অন্তত ডজন খানেক সংখ্যালঘুকে এ বার প্রার্থী করা উচিত। মোদী অবশ্য এ নিয়ে মুখ খোলেননি। সাংসদদের তিনি বলেন, পটনায় তাঁর সভায় বোমা হামলার বিষয়টি নিয়ে লাগাতার প্রচার করতে হবে। জঙ্গিরা যে বিজেপির ক্ষমতায় আসা ঠেকাতে মরিয়া, মানুষকে তা বোঝাতে হবে। চায়ের স্টল ও স্যোশাল মিডিয়ার প্রচারেও খামতি দেওয়া চলবে না। |
|
|
|
|
|