|
|
|
|
দুর্নীতি নিয়ে অরবিন্দকে কটাক্ষ মনমোহনের |
সংবাদ সংস্থা • নয়াদিল্লি
১১ ফেব্রুয়ারি |
দুর্নীতি নিয়ে বিতর্কের সীমা থাকা উচিত বলে মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। তিনি আম আদমি পার্টির নেতা ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকেই কটাক্ষ করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
গত কয়েক বছরে অসংখ্য দুর্নীতির অভিযোগে জেরবার হয়েছে ইউপিএ সরকার। বিতর্কে জড়িয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রীও। মূলত দুর্নীতি-বিরোধী আন্দোলনকে হাতিয়ার করেই দিল্লিতে ক্ষমতা দখল করেছে আম আদমি পার্টি (আপ)। কিন্তু কেজরিওয়াল সরকারের অনেক পদক্ষেপ কতটা সঠিক তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নানা শিবির থেকে। আজ প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম নিয়ে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তাতে তেলমন্ত্রী বীরাপ্পা মইলি, প্রাক্তন তেলমন্ত্রী মুরলী দেওরা, শিল্পপতি মুকেশ অম্বানীর পাশাপাশি রয়েছে হাইড্রোকার্বন দফতরের প্রাক্তন কর্তা ভি কে সিব্বলের নামও। আর এ দিনই ভিজিল্যান্স কমিশনের অনুষ্ঠানে নীতি নির্ধারণে যুক্ত সৎ অফিসারদের অকারণ হেনস্থা থেকে বাঁচানোকে গুরুত্ব দিয়েছেন মনমোহন।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, “দুর্নীতি নিয়ে এখন দেশে প্রবল বিতর্ক চলছে। অনেক ক্ষেত্রেই দ্রুত অভিযোগের আঙুল তোলা হয়। নীতি নির্ধারণের কাজ অনেক ক্ষেত্রেই জটিল। সেই বিষয়গুলিকে তুচ্ছ করে ফেলা হয়।” তাঁর কথায়,“অনেক সময়েই নীতি নির্ধারণের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের অকারণে দোষারোপ করা হয়। এই অবস্থা বদলানো প্রয়োজন।”
মনমোহনের মতে, নীতি নির্ধারণে অনেক সময়েই ভুল হতে পারে। সেই ভুলের জন্য যাতে সৎ অফিসারদের হেনস্থা করা না হয় সেটা দেখতে হবে। কারণ, সাহসী ও নতুন সিদ্ধান্ত না নিতে পারলে প্রশাসন চালানো কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। তাঁর কথায়,“প্রশাসন চালানোর পদ্ধতিকে আরও উপযুক্ত করে তোলাই দুর্নীতি-দমন শাখার কাজ। সৎ কর্মীরা মর্যাদা না পেলে প্রশাসনের উন্নতি হবে না। উল্টে প্রশাসন স্তব্ধ হয়ে যাবে।” তাঁর মতে, কোনও প্রক্রিয়ার খুঁটিনাটির সঙ্গে সঙ্গে গতির বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। কোনও অফিসারের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের প্রক্রিয়া বা ভিজিল্যান্সের ছাড়পত্র দেওয়ার কাজ ঠিক সময়ে শেষ করা উচিত।
প্রধানমন্ত্রীর দাবি, সিবিআই যাতে আরও স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারে সে জন্য সচেষ্ট তাঁর সরকার। কিন্তু গণতন্ত্রে তদন্তকারী সংস্থার উপরে রাজনৈতিক প্রশাসনের নজরদারি থাকাই কাম্য। |
|
|
|
|
|