মোট ৯৩ জন ছোট ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগী। প্রস্তাবিত লগ্নির অঙ্ক ৩০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ, মাথাপিছু তিন কোটির কিছু বেশি। নিছক সংখ্যার নিরিখে এই বিনিয়োগ আহামরি নয় বলে মনে হলেও শিল্পের জন্য চাতকের মতো অপেক্ষায় থাকা এ রাজ্যে এই পুঁজিও ফেলনা নয় বলেই মনে করছে শিল্পমহল। বিশেষত তা যখন আসছে ছোট ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগীদের ঝুলি থেকে। কাজের সুযোগ তৈরির বিপুল সম্ভাবনার কারণে যাদের বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার কথা বরাবর বলেছে রাজ্য।
অন্য একটি সদর্থক দিকও দেখছেন অনেকে। লাল ফিতের ফাঁসে না আটকে রেখে এখানে প্রশাসনের পর্বতই হেঁটে গিয়েছে শিল্পোদ্যোগীদের দরজায়। জানতে চেয়েছে সমস্যার কথা। তা সমাধানে সাহায্য নিয়েছে বণিকসভারই। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের দাবি, দেশে নতুন মডেলের জন্ম দেবে এই উদ্যোগ।
ছোট ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগীদের লগ্নির পথ মসৃণ করতে উত্তরবঙ্গের আট জায়গায় তাঁদের কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন সরকার ও বণিকসভা সিআইআইয়ের প্রতিনিধিরা। সমস্যার ‘অসুখ’ শুনে বাতলে দেন সমাধানের ‘দাওয়াই’ও। এ ভাবে ২০০-রও বেশি শিল্পোদ্যোগীর সঙ্গে আলোচনার ফসলই এই ৩০০ কোটি লগ্নি।
এই পদ্ধতির সঙ্গে শিল্পোদ্যোগীদের জন্য আঁতুড়ঘর (ইনকিউবেশন সেন্টার) গড়তে রাজ্যের উদ্যোগের মিল দেখছেন অনেকে। ‘ইনকিউবেশন সেন্টার’ গড়ার কথা আগেই জানিয়েছেন শিল্প এবং অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। তৃণমূল স্তরে সরকারি যোগাযোগ নিবিড় করতে ছোট ও মাঝারি শিল্প দফতরের ছ’শো আধিকারিককে আইআইএম-কলকাতায় প্রশিক্ষণে পাঠানোর কথাও জানিয়েছেন তিনি।
সরাসরি শিল্পোদ্যোগীদের দরজায় পৌঁছতে সিআইআইয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে রাজ্য। নতুনদের ব্যবসা করার পথ দেখাতে অভিজ্ঞ শিল্প-কর্তাদের নিয়ে ‘বিজনেস মেন্টরিং ফোরাম’ তৈরি করছে বণিকসভাটি। তারই ফলশ্রুতি ছোট ও মাঝারি শিল্প দফতর উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় কর্মশালার আয়োজন করে। যার ফলশ্রুতি ৯৩ জনের লগ্নি প্রস্তাব। |