দক্ষিণ ইংল্যান্ডে বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে টেমস নদী। জলস্তর ক্রমশ বাড়ছে। ইংল্যান্ডের দক্ষিণে বার্কশায়ার অঞ্চলে এক হাজারেরও বেশি বাড়ি ইতিমধ্যেই খালি করে দেওয়া হয়েছে। টেমসের পাশে বড় শহর ও গ্রামগুলি জলমগ্ন। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন তাঁর উত্তর-পশ্চিম ইংল্যান্ডের সফর বাতিল করে আজ তড়িঘড়ি লন্ডনে ফিরে আসেন। বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন তিনি।
বৈঠকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সামনে বিরাট চ্যালেঞ্জ। শীতের শুরু থেকেই ঝড়-বৃষ্টি আমাদের পিছু ছাড়ছে না। আশা করছি, পরিস্থিতি দ্রুত সামলে নিতে পারব। সরকার সব ধরনের সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত।”
২০১৩-র শেষ থেকে ইংল্যান্ড, বিশেষত দক্ষিণ ইংল্যান্ডে লাগাতার বর্ষণ চলছে। আবহাওয়া দফতরও কোনও আশার বাণী শোনাতে পারছে না। আবহবিদরা জানাচ্ছেন, চলতি সপ্তাহে ঝড়-বৃষ্টি আরও বাড়বে। টেমসের আশপাশের একাধিক শহর প্লাবিত হতে পারে বলে ইতিমধ্যেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আবহবিদরা। গতকালই বিভিন্ন জায়গায় ফের বন্যা সতর্কতা জারি করা হয়েছিল।
দক্ষিণ ইংল্যান্ডের বন্যা পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয়েছে ১৬০০ সেনা। ওয়েস্টারশায়ারেই ভেসে গিয়েছে একশোরও বেশি বাড়ি। ডিসেম্বর মাস থেকে আবহাওয়া দফতর ১৩০ বারেরও বেশি বন্যা সতর্কতা জারি করেছে। আবহাওয়া খারাপ থাকায় টান পড়ছে পর্যটন ব্যবসাতেও। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দক্ষিণ ইংল্যান্ডের অন্যতম পর্যটনস্থল, ইংল্যান্ডের রাজবাড়ি উইন্ডসর ক্যাসেল।
বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলা নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছে দেশের সরকার। সেনার কাজ নিয়েও শুরু হয়েছে সমালোচনা। ইংল্যান্ডের নদীগুলি সময় মতো সংস্কার করানো হয়নি, তার জন্যই এই অবস্থা বলে মন্তব্য করেন উপ-প্রধানমন্ত্রী নিক ক্লেগ। প্রশ্ন উঠেছে, পরিবেশ সংস্থার সভাপতি লর্ড স্মিথের কাজ নিয়েও। আজ এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি শুধু বলেন, দায়িত্ব থেকে আপাতত কাউকে সরানো হচ্ছে না। আগে বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলা করা হোক, পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। |