প্রধান শিক্ষক দায়িত্ব পালন না করায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে পড়ুয়াদের, এমন অভিযোগ তুলে বুধবার দুর্গাপুরের নডিহা হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষককে ঘেরাও করে পড়ুয়াদের একাংশ। পরে প্রতিবাদ জানিয়ে পোস্টার সাঁটিয়ে দিনের ক্লাসও বয়কট করে তারা।
পড়ুয়াদের অভিযোগ, স্কুলে মিড-ডে মিল বন্ধ দীর্ঘদিন ধরে। শৌচাগারের হাল ভাল নয়। কম্পিউটার আছে, কিন্তু ক্লাস হয় না। গ্রন্থাগার বন্ধ থাকায় বই পড়তে পারে না পড়ুয়ারা। স্কুল চত্বর নিয়মিত সাফ হয় না। নিরাপত্তাকর্মী না থাকায় বাইরের কেউ কেউ স্কুলে ঢুকে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে। সরস্বতী পুজোয় চাঁদা তোলা হয়েছিল সবার কাছে। সেই অর্থ প্রধান শিক্ষক এখনও না দেওয়ায় পুজো করে বিপাকে পড়েছে পড়ুয়ারা। বারবার প্রধান শিক্ষককে এ সব জানিয়েও কোনও ফল না হওয়ায় বাধ্য হয়ে এ দিন তারা প্রতিবাদের পথ নেয় বলে দাবি তাদের।
একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া কাকলি মণ্ডল বলে, “শৌচাগার বেহাল। অথচ, নতুন শৌচাগার তালাবন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে কয়েক মাস ধরে।” |
স্কুলের পড়ুয়া পিন্টু ঘোষ, সুশান্ত চন্দ বলে, “হাতে টাকা না থাকায় ধার করে সরস্বতী পুজো করেছিলাম। কিন্তু প্রধান শিক্ষক টাকা না দেওয়ায় ধার মেটাতে পারছি না। বিপদে পড়ে গিয়েছি।”
স্কুলের শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক তাঁদের দায়িত্ব ভাগ করে দেন না। অথচ, তাঁদের বিরুদ্ধে সঠিক দায়িত্ব পালন না করার অভিযোগ তোলেন। শিক্ষকেরা জানান, স্কুলে মিড-ডে মিল চালু হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ আবার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। প্রশাসনের কাছে প্রধান শিক্ষক অভিযোগ করেছেন, অন্য শিক্ষকেরা সহযোগিতা না করায় প্রকল্পটি চালানো সম্ভব হচ্ছে না। শিক্ষক নীলোৎপল পালের দাবি, “প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধান শিক্ষককে চিঠি দিয়েছি আমরা। ওঁর নিজের কাজ আমাদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে চান। আমরা প্রতিবাদ করলেই বেঁকে বসেন। সরাসরি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগও করেন না।”
প্রধান শিক্ষক গৌতম চক্রবর্তী কোনও অভিযোগ মানতে চাননি। তিনি জানান, মিড-ডে মিল বন্ধের বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন অবগত। সরস্বতী পুজোয় এ বার কোনও চাঁদা তোলা হয়নি বলে দাবি তাঁর। অন্য অভিযোগও তিনি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “অন্য শিক্ষক, পড়ুয়াদের সঙ্গে মানসিক দূরত্ব থেকে এই সব সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।” |