ব্রিগেড সমাবেশে যাওয়ায় সোমবার তারকেশ্বরের এক সিপিএম নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠল শাসক দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। একই কারণে আসানসোলে ৩৮টি বাসকে রাস্তায় নামতে বাধা দেওয়ায় অভিযুক্ত তৃণমূলের পরিবহণ কর্মী সংগঠন। ভোগান্তি হল যাত্রীদের।
তারকেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি সিপিএম নেতা নিশীথ বালি রবিবার ব্রিগেডে যান। সিপিএমের অভিযোগ, সোমবার রামনগর পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান বিশু রায়ের নেতৃত্বে নিশীথবাবুর বাড়িতে হামলা হয়। লাঠির বাড়িতে নিশীথবাবুর মাথা ফাটে। মার খান তাঁর ছেলে অভিজিৎও। পরে পুলিশ নিশীথবাবুকে উদ্ধার করে। |
বামেদের ব্রিগেড সমাবেশে যাওয়ায় আইএনটিটিইউসি প্রভাবিত পরিবহণ কর্মী সংগঠন সোমবার আসানসোল
মহকুমায় বেশ কিছু বাস চলতে দেয়নি বলে অভিযোগ বাসমালিকদের। ওই পরিবহণ কর্মী সংগঠনের যদিও
দাবি, জোর করে ব্রিগেডে নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে বাসকর্মীরাই বাস চালাতে চাননি। এই ঘটনায় দুর্ভোগে
পড়েন বহু যাত্রী। বাঁ দিকে, রানিগঞ্জে ওমপ্রকাশ সিংহ ও ডান দিকে, আসানসোলে শৈলেন সরকারের তোলা ছবি। |
সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুদর্শন রায়চৌধুরীর অভিযোগ, “ব্রিগেডে যাওয়ায় আমাদের নেতাকে মারা হল।” অভিযোগ উড়িয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি তপন দাশগুপ্তের দাবি, “ঘটনায় আমাদের কেউ যুক্ত নন।”
অন্য দিকে, আসানসোল থেকে ২০টি বড় বাস ও ১৮টি মিনিবাস ভাড়া নিয়ে রবিবার ব্রিগেডে যান বাম কর্মী-সমর্থকেরা। আসানসোল মিনিবাস মালিক সংগঠনের নেতা সুদীপ রায় ও বড় বাস মালিক সংগঠনের নেতা প্রকাশ মণ্ডলের অভিযোগ, এ দিন সকালে স্ট্যান্ড থেকে বাস নিয়ে বেরোতে গেলে আইএনটিটিইউসি প্রভাবিত ‘মোটর ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন’-এর নেতারা বাধা দিয়ে দাবি করেন, এই সব বাস ব্রিগেডে পাঠিয়ে সাধারণ যাত্রীদের বিপাকে ফেলা হয়েছে। তাই তাদের রাস্তায় নামতে দেওয়া হবে না। সুদীপবাবুর অভিযোগ, “মহকুমার বহু রুটের বাস বন্ধ করে দেন আইএনটিটিইউসি-র নেতারা।” প্রকাশবাবুর বক্তব্য, “এমনিতেই পরিবহণ শিল্পের অবস্থা ভাল নয়। তার উপরে এমন জুলুম হলে বাস চালানো বন্ধ করতে বাধ্য হব।”
একাধিক বাস-মালিকের ক্ষোভ, “তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশেও প্রচুর বাস গিয়েছিল। তখন তো কেউ কিছু বলেননি!” অভিযোগ উড়িয়ে ‘মোটর ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন’-এর সাধারণ সম্পাদক রাজু অহলুওয়ালিয়ার দাবি, “ওই বাস-কর্মীরা আমাদের সংগঠনের সদস্য। রবিবার তাঁরা বাস দিতে চাননি। সিপিএম ভয় দেখিয়ে নিয়ে যায়। প্রতিবাদে বাস চালাননি কর্মীরা।” তবে এই দাবি মানেননি বাসমালিকেরা। আসানসোলের মহকুমাশাসক অমিতাভ দাস বলেন, “যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা শুনে আমি স্তম্ভিত। ব্যবস্থা নিচ্ছি।” |