বাম বেঞ্চ থেকে তাঁদের অন্যত্র আসনের ব্যবস্থা করার আর্জি জানিয়ে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন তিন দলত্যাগী বিধায়ক। কংগ্রেস পরিষদীয় দলও সোমবার দলের দুই ‘বিদ্রোহী’ বিধায়কের আসন আলাদা করার জন্য স্পিকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে। স্পিকার এখনও এ ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত জানাননি। ফলে, বিধানসভার চলতি বাজেট অধিবেশনে ওই বিধায়কেরা কী করবেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই যাচ্ছে। পরিষদীয় সূত্রে বলা হচ্ছে, যথাসময়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
রাজ্যসভার ভোটে কংগ্রেস-সমর্থিত নির্দল প্রার্থীর বদলে তৃণমূলকে সমর্থন করেছিলেন সুতির বিধায়ক ইমানি বিশ্বাস। আনুষ্ঠানিক ভাবে তাঁর অবশ্য এখনও তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ঘোষণা হয়নি। কিন্তু এ দিন বিধানসভায় রাজ্যপালের বক্তৃতার সময়ে তাঁকে লাভপুরের তৃণমূল বিধায়ক মণিরুল ইসলামের পাশের আসনে দেখা গিয়েছে! এমনকী, দিনের শেষে সংশোধনী প্রস্তাবের উপরে ভোটাভুটিতে তিনি অংশ নিয়েছেন ওই আসন থেকেই! বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথাও বলেন তিনি। তৃণমূলকে ভোট দেওয়া আর এক কংগ্রেস বিধায়ক সুশীলচন্দ্র রায় এ দিন বিধানসভায় হাজির হননি। আসন বদলের আর্জি জানালেও ফরওয়ার্ড ব্লকের সুনীল মণ্ডল, আরএসপি-র দশরথ তিরকে এবং অনন্তদেব অধিকারীও এ দিন অধিবেশন কক্ষে ঢোকেননি। এর আগে তৃণমূলে যোগ দিলেও কোতুলপুরের সৌমিত্র খান এখনও খাতায়-কলমে কংগ্রেসেরই বিধায়ক। তাঁর বিধায়ক-পদ খারিজের আর্জি জানিয়েছে কংগ্রেস। তাঁর ব্যাপারে এখনও নিষ্পত্তি হয়নি বলেই সৌমিত্র বিধানসভার অধিবেশন কক্ষ এড়িয়ে যাচ্ছেন। তিন বিধায়কের চিঠির পরে বাম পরিষদীয় দলও এখন স্পিকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়। দলত্যাগী তিন জনকে নিয়ে বিধানসভায় কী সিদ্ধান্ত হয়, তা দেখে নিয়েই নিজেদের পদক্ষেপ ঠিক করবেন বাম নেতৃত্ব। তাঁরা চাইছেন এমন পরিষদীয় কৌশল নিতে, যাতে ওই তিন জনের বিধায়ক-পদ খারিজ হয়। |