ম্যাচের আগেই ভিকট্রি সাইন দেখিয়ে ফেললেন
ধানমন্ডির সনি নর্ডি। ছবি: উৎপল সরকার। |
পুরো ঘটনায় ক্ষুব্ধ ধানমন্ডি টিমের ম্যানেজার আব্দুল গফ্ফর এবং কোচ জোসেফ আইএফএ-কে সরাসরি আক্রমণ করে বলে দেন, “আইএফএ-র মতো অপেশাদার সংস্থা আমরা আগে দেখিনি। বাইরে থেকে একটি টিমকে টুর্নামেন্ট খেলার জন্য আমন্ত্রণ করে নিয়ে এসেছে। অথচ আমাদেরই প্রতি মুহূর্তে হেনস্থা হতে হচ্ছে। এর আগে মাকড়দহের মতো ফুটবল খেলার অযোগ্য মাঠে অনুশীলন করতে পাঠানো হয়েছিল। আর সেমিফাইনালের আগের দিন যুবভারতীতে অনুশীলন করতে এসেও সমস্যায় পড়তে হল।” আইএফএ অবশ্য ধানমন্ডির অভিযোগ মানতে নারাজ। সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় পাল্টা বললেন, “দুপুর তিনটেতে ধানমন্ডির অনুশীলনের সময় ছিল। ওরা আগে মাঠে চলে এসেছে। ইউনাইটেড তো ঠিক সময়ে মাঠ ছেড়ে দিয়েছে। পাঁচ-দশ মিনিট তো এ দিক-ও দিক হতেই পারে।”
এ সব ঝামেলার জবাব অবশ্য ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে মাঠেই দিতে তৈরি হচ্ছে ধানমান্ডি। কোচ নাইজিরিয়ান জোসেফ যেমন বলে দিলেন, “ইস্টবেঙ্গল ভাল দল। তবে ওদের দুর্বলতাগুলোও আমার জানা। ঠিক করে প্র্যাক্টিস করতে না পারলেও ফাইনালে যাওয়ার জন্য আমার দল তৈরি।” ধানমন্ডির যে বিদেশি স্ট্রাইকারের গোলে মোহনবাগান ছিটকে গিয়েছিল সেই হাইতির সনি নর্ডিও ফাইনালে যাওয়ার ব্যাপারে প্রবল আত্মবিশ্বাসী। বলছিলেন “মোহনবাগানের পর এ বার ইস্টবেঙ্গলকেও হারাতে চাই।” আর আর্মান্দো কোলাসোর দলকে আটকাতে ৪-৩-৩ স্ট্র্যাটেজিতে দল সাজাচ্ছেন আফুসি। মোগা-চিডিদের আক্রমণ থামাতে পাল্টা আক্রমণের রাস্তাই মনে হল অস্ত্র তাঁর।
এ দিকে বাংলাদেশের টিমকে উৎসাহ দিতে শহরে এসে পৌঁছেছেন বা ফু ফে-র প্রেসিডেন্ট কাজী সালাউদ্দিন। গ্রুপ লিগে মোহনবাগানকে হারিয়ে মাঠেই নেচেছিলেন ধানমন্ডির ফুটবলাররা। রবিবার রাতে হোটেলে ডিনার-পার্টিও দেওয়া হয়। ইস্টবেঙ্গলকে ফাইনালে ওঠার লড়াইতে হারালে কী হবে? এক কর্তা বললেন, “পুরস্কার অর্থ দেব। আরও অনেক কিছু হবে। দেখেন না কী করি?” |