নিলামের সম্ভাব্য সেরা বাজি
আইপিএল ‘সার্কাস’, তবু থাকতে পেরে খুশি কোরি
বিশ্বরেকর্ড ভেঙে বছরের শুরুতেই চমকে দিয়েছিলেন ক্রিকেট বিশ্বকে। শাহিদ আফ্রিদির ১৮ বছরের নজির ভেঙে তিনিই এখন ওয়ান ডে ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিক। বুধবার আইপিএল সেভেনের নিলামেও তাই তাঁকে নিয়ে আকাশছোঁয়া দর ওঠার সম্ভাবনা প্রবল। তিনি--নিউজিল্যান্ডের কোরি অ্যান্ডারসনও এ নিয়ে কম উত্তেজিত নন।
“ভারতের এই সফরের শুরুতে আইপিএল নিলাম নিয়ে খুব একটা ভাবিনি। তবে একইসঙ্গে এটাও বলতে হবে একটা সময় ব্যাপারটা মাথায় এসেই যায়। নিশ্চিত ভাবে এই নিলাম নিয়ে আমি বেশ উত্তেজিত। সুযোগ পেলে ভারতে পারফর্ম করার জন্য মুখিয়ে রয়েছি,” বলে দেন অ্যান্ডারসন। সঙ্গে তিনি আরও যোগ করেন, “নিলামে কী হবে বা তার পরে কী হয়, এ নিয়ে আমার স্পষ্ট কোনও ধারণা নেই। তবে এটা বুঝতে পারছি এটা কিছুটা সার্কাস আর কিছুটা ক্রিকেট। ভাল লাগছে আইপিএল সার্কাসের অংশ হতে পেরে।”

মহেন্দ্র সিংহ ধোনিদের চলতি নিউজিল্যান্ড সফরের আগেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে কুইন্সটাউনে মহাবিস্ফোরণটা ঘটান অ্যান্ডারসন। ৪৭ বলে করেন অপরাজিত ১৩১ রান। চারটে বাউন্ডারি আর ১৪টা ওভার বাউন্ডারি। ১৯৯৬-এ নাইরোবিতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে আফ্রিদি সেঞ্চুরিতে পৌঁছতে নিয়েছিলেন ৩৭ বল। অ্যান্ডারসনের লাগে ৩৬ বল। সেই প্রসঙ্গ উঠতেই তিনি বলেন, “সে দিন যে খুব কম বল খেলেই সেঞ্চুরিতে পৌঁছেছি সেটা জানতাম। তার সঙ্গে ভাবছিলাম ওয়ান ডে-তে নিউজিল্যান্ডের কোনও ব্যাটসম্যানের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙতে পেরেছি কি না। বিশ্বরেকর্ডের ব্যাপারটা মাথাতেই আসেনি তখন। যখন ছোট ছিলাম আফ্রিদির ওই ইনিংসটা দেখেছি। রেকর্ডটা কী ভাবে করলাম সেটা বলতে পারব না। একটা ক্রেজি ডে।”
চার, ছয় দুটোই অনায়াসে মারার সহজাত ক্ষমতার পাশাপাশি তিনি তুখোর ফর্মেও আছেন। ভারতের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজেও প্রথম দু’ম্যাচে দুরন্ত পারফর্ম করেছেন। বলেন, “আমি সোজাসুজি হিট করতে ভালবাসি। ব্যাটের মাঝখান থেকে আসা যে কোনও শটই ভাল। ক্রিজে একবার নামার পর চাপ তো থাকেই। এখন আবার তার সঙ্গে যোগ হয়েছে প্রত্যাশাও। আমি ভাগ্যবান যে আমার স্বাভাবিক খেলাটাই আক্রমণাত্মক। কখনও কখনও চাপটা রেখে ভাল ইনিংস বেরিয়ে আসে কখনও আসে না। এ ভাবেই খেলাটা চলে।”
হার্ড-হিটিং ব্যাটসম্যানের পাশাপাশি ২৪ বছরের নিউজিল্যান্ড প্লেয়ার বল হাতেও কিছু কম যান না। ১২ ওয়ান ডে ম্যাচে ১৯টা উইকেট রয়েছে তাঁর। নিলামে যেটা তাঁর দর উঠতে আরও সাহায্য করতে পারে। তিনি নিজে অবশ্য বলছেন, “শেন বন্ডের সঙ্গে নিজের বোলিং নিয়ে খেটেছি। বন্ড একজন জিনিয়াস। কী ভাবে নিজের ক্রিকেট নিয়ে ভাবতে হবে সে ব্যাপারে দুরন্ত পরামর্শ দিয়েছেন। ব্যাটিং আর বোলিং দুটোই করতে পারাটা সব সময়ই বোনাস। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। এক বার ভারতে গিয়েছিলাম নিউজিল্যান্ড ‘এ’ টিমের হয়ে। মোটামুটি পারফর্ম করেছিলাম। আবার ওখানে যাওয়ার সুযোগ হলে দারুণ অভিজ্ঞতা হবে।”

পুরনো খবর:




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.