১০০ দিনের কাজ-সহ নানা প্রকল্পের কাজ ঠিকমতো হচ্ছে না, এই অভিযোগ তুলে সোমবার দুপুরে খানাকুলের কিশোরপুর-২ পঞ্চায়েত অফিসে এসেছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা খানাকুল-১ পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ গোপাল মাইতি। সেখানে দলীয় প্রধান বাপ্পা পাল এবং এক কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে গোপালবাবুর বিরুদ্ধে। বাপ্পাবাবুকে আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
প্রধান বাপ্পা পালের অভিযোগ, “কেন তাঁর কথা মতো কাজ করছি না, এই প্রসঙ্গ তুলে গোপালবাবু আমাকে চড় মারেন, চেয়ার থেকে ফেলে দেন। পঞ্চায়েত কর্মী লক্ষ্মীকান্ত মাইতিকেও চড় মারেন। থানায় অভিযোগ জানালে খুন করারও হুমকি দেন। সমস্ত বিষয়টা দল এবং বিধায়ককে জানিয়েছি।” পরে অবশ্য তিনি থানাতেও অভিযোগ দায়ের করেন। লক্ষ্মীকান্তবাবু এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গোপালবাবু। তাঁর দাবি, “প্রধান নিজের খুশি মতো কাজ করায় বচসা হয়েছে। তবে, মারধর করিনি।” খানাকুলের তৃণমূল বিধায়ক ইকবাল আহমেদ বলেন, “ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পঞ্চায়েতের ১০ নম্বর সংসদের চুয়াডাঙ্গা গ্রামে ইন্দিরা আবাস প্রকল্পের উপভোক্তা নির্বাচন, ১০০ দিনের কাজের ক্ষেত্র ইত্যাদি নানা বিষয় নিয়ে ওই গ্রামের বাসিন্দা গোপালবাবুর সঙ্গে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের মতানৈক্য ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা ছিল। গোপালবাবুর অভিযোগ, “প্রধান যাকে তাকে ইন্দিরা আবাস প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছেন। দলের পুরনো কর্মীরা ১০০ দিনের কাজ পাচ্ছেন না। যেখানে কাজ দরকার সেখানে কাজ না করিয়ে প্রধান অন্যত্র করাচ্ছেন।” প্রধানের দাবি, “উন্নয়নের কাজে কোনও দুর্নীতি হয়নি। সংসদ থেকে যে সব কর্মসূচি উঠে আসে সেগুলিই ক্রমান্বয়ে করা হয়।” |