|
|
|
|
দলের সভাপতির বিরুদ্ধেই তোপ বহিষ্কৃত বিধায়কের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর
১০ ফেব্রুয়ারি |
হজ থেকে বাড়ি ফিরে দলের সভাপতির বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ দাগলেন এআইইউডিএফ-এর বহিষ্কৃত বিধায়ক আতাউর রহমান মাঝারভুইয়া।
রাজ্যসভা নির্বাচনে অংশ না-নেওয়ায় ফলাফল ঘোষণার পর দল তাঁকে বহিষ্কার করে। একে দলের সভাপতি বদরুদ্দিন আজমলের চক্রান্ত বলে অভিযোগ করেন মাঝারভুইয়া। তাঁর কথায়, “আজমলের সঙ্গে কথা বলেই হজে গিয়েছিলাম। যাওয়া-আসার তারিখ আজমল জানতেন। কিন্তু ফিরে আসার নির্দেশ পাঠানো হয় ভোটের আগের দিন।” মাঝারভুইয়ার বক্তব্য, বিমানের টিকিট যখন তাঁর হাতে পৌঁছয়, তখন রাত ১০টা বেজে গিয়েছে। আতাউরের প্রশ্ন, তাঁর ভোটের জন্য আন্তরিক ভাবেই উদ্যোগ নেওয়া হলে, রাত দশটায় কেন টিকিট পাঠানো হল?
মাঝারভুইয়ার দাবি, আজমল রাজ্যসভার ভোট ও তাঁর হজযাত্রাকে মিলিয়ে মোক্ষম চাল দিয়েছেন। সভাপতির ছক ছিল, দলের ভিতরে-বাইরে ক্রমে জনপ্রিয় হয়ে ওঠায় তাঁকে দল থেকে তাড়িয়ে দেওয়া। তবে বললেই যে তিনি দল ছেড়ে চলে যাবেন না, সে কথা জানিয়ে দেন আতাউর। তিনি বলেন, “এখনও বহিষ্কারের চিঠি পাইনি। তা হাতে পেলে আইনজ্ঞদের পরামর্শ চাইব।” তিনি প্রশ্ন তোলেন, তাঁর ভোট পেলেই কি সম্মিলিত বিরোধী প্রার্থী হায়দর হোসেন জিতে যেতেন? আতাউর বলেন, “৩১ জন বিরোধী বিধায়ক ভোটে অংশ নেওয়ার পরও হোসেন পেয়েছেন ২৬টি ভোট। ৩ জন এআইইউডিএফ বিধায়কের ভোট বাতিল হয়েছে। আজমল কেন তাঁদের বহিষ্কার করছেন না?” তাঁর অনুমান, সনিয়া গাঁধীর পরামর্শে আজমল ওই তিনজনের ভোট বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছেন। রাজ্যসভার ভোটের পরই এআইইউডিএফ কর্মীরা মাঝারভুইয়ার বিরুদ্ধে বরাক উপত্যকা জুড়ে আন্দোলনে নামে। গতকাল তাঁকে বিমানবন্দর থেকে বাড়ি পৌঁছনোয় কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি পুলিশ। কড়া নিরাপত্তায় স্ত্রী-পুত্র-সহ তাঁকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। সেখানেও পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।
এ দিকে, ওই ঘটনার জেরে উপত্যকার কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না-ঘটলেও বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। গতকাল রাতাবাড়িতে বিতাড়িত বিধায়কের কুশপুতুল বানিয়ে প্রতীকী ‘জানাজা’র পর তা কবরস্থ করা হয়। সন্ধ্যায় আতাউরের গ্রামেরই একাংশ মানুষ নাগরিক সভা আহ্বান করেন এবং রাজ্যবাসীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগে তাঁকে সামাজিক ভাবে বয়কটের আহ্বান জানান। আতাউর বলেন, “আজমলের নির্দেশেই ওঁরা এ সব করছে।” |
|
|
|
|
|