শিল্প চর্চায় উদ্বুব্ধ হোক বর্তমান প্রজন্ম। কর্ম ব্যস্ততা ও জীবনের নানা জটিলতার মধ্যে একটু ভিন্ন স্বাদ খুঁজে পান সকলে। গড়ে উঠুক শিল্প মনস্কতা। মূলত এই ভাবনা থেকেই দুবরাজপুরে হেতমপুর গ্রামের পাঁচ তরুণ জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, উকিল আহির, অভীক দাস, গণেশ আহির ও আদিত্যনাথ দাস একটি চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছেন। হেতমপুর মেলা প্রাঙ্গণে হওয়া প্রদর্শনীর নাম ‘প্রভাস্বিত’। সরস্বতী পুজো উপলক্ষে হওয়া মেলা রবিবার শেষ হল। ৫৩টি বিভিন্ন মাপের ছবির পাশাপাশি ছিল ১০টি আলোকচিত্র ও ৭টি ভাস্কর্য। এ ছাড়াও, জেলার অন্যান্য শিল্পী এমনকী শান্তিনিকেতন কলাভবনের প্রতিষ্ঠিত শিল্পীর আঁকা ছবি, ভাস্কর্যও ছিল এই প্রদর্শনীতে। |
মেলায় আসা মানুষজন প্রদর্শনীতে রাখা খাতায় তাঁদের মতামত জানিয়েছেন। আয়োজকদের মধ্যে অন্যতম জিৎ হেতমপুর কৃষ্ণচন্দ্র কলেজের কলাবিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। বললেন, “গ্রামাঞ্চলে এমনকী ছোট শহরেও আঁকা ছবি সকলের সামনে উপস্থিত করার তেমন সুযোগ নেই। কারণ, প্রদর্শনী তেমন হয় না। তাই শিল্প চর্চার এই দিকটি সকলের সামনে তুলে ধরতেই আমাদের এই প্রয়াস।” গত চার বছর ধরে এভাবেই প্রদর্শনী হয়ে আসছে। তবে ২০০০ সাল থেকে এলাকার ছোট-বড় ছবি আঁকিয়েদের কাজ নিয়ে দুবরাজপুর অভেদানন্দ মেলায় প্রদর্শনী আয়োজন করতেন পীযূষ কবিরাজ। ২০০৭ সালে পুরীর সমুদ্রে তলিয়ে গিয়েছেন। ওঁর মৃত্যর পর বন্ধ হয়ে যায় প্রদর্শনী। তাঁর ছাত্র জিৎ, উকিল’রা ফের সেই পথে হাঁটা শুরু করেন। পীযূষবাবুর অনেক ছাত্রছাত্রী কলাভবন বা বর্ধমান আর্ট কলেজে ছবি আঁকা শিখছেন বা শিখেছেন। হেতমপুরের বাসিন্দা নির্বাণ দে এই মূহূর্তে বর্ধমান আর্ট কলেজে পড়াশোনা করছেন। ছবি দিয়েছেন প্রভাস্বিততে। কলাভবনের প্রাক্তনী তথা শিল্পী প্রভাত বাগদির বেশ কয়েকটি ছবি ও ভাস্কর্য রয়েছে এই প্রদর্শনীতে। বাদ যায়নি ছোটরাও। তৃতীয় শ্রেণির মধুরীমা দে বা দ্বিতীয় শ্রেণির জিৎ দাস মন্তব্য লিখেছে, “খুব খুব ভাল।” |