জাতীয় সড়কের মাত্র ১৫০ মিটারের মধ্যে রাতারাতি তৈরি হয়েছে চার চারটি বিশাল আকারের স্পিড ব্রেকার। যেগুলি পারাপার করতে হিমসিম খাচ্ছেন সাইকেল, মোটরবাইক, রিকশা বা ভ্যান রিকশা চালকেরা। ওই সব স্পিড ব্রেকারের উচ্চতা এতটাই বেশি যে, মাঝে মধ্যে ছোট চার চাকা গাড়ির নীচের অংশ ঠেকে যাচ্ছে। ঘটনাটি দুবরাজপুর শহরের ইসলামপুরের। দুবরাজপুরের পুরপ্রধান পীযূষ পাণ্ডে বলেন, “এ ব্যাপারে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করব। তা না হলে বিপদ ঘটবে।” |
দুবরাজপুর শহরের মধ্য দিয়ে যাওয়া রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের মাত্র তিন কিলোমিটার সংস্কারের কাজ চলছে। বেশ কিছুটা কাজ হয়েছে। ফলে এক সময়ের খানাখন্দে ভরা রাস্তা সমান হয়ে যাওয়ায় গাড়ির গতি বেড়ে গিয়েছে। দুবরাজপুর শহরের জনবহুল এলাকার মধ্য দিয়ে দ্রুত গতিতে যাওয়ার ঝোঁক দেখা গিয়েছে চালকদের মধ্যে। সেই কারণেই ডাম্পারের ধাক্কায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছিল। স্থানীয় মানুষের দাবি মেনে প্রশাসন দু’টি জায়গায় স্পিড ব্রেকার দিলেও তার পরে কিছু বাসিন্দা অপ্রয়োজনীয় ভাবে স্পিড ব্রেকার দিয়ে বিপদই বাড়াচ্ছেন বলে মনে করছছেন এলাকবাসীর একটা বড় অংশই। তাঁদের বক্তব্য, স্পিড ব্রেকার নয়, গাড়ি শহরের মধ্যে দিয়ে ধীরে চলাচল করুক। তার জন্য চলকদেরকে সতর্ক করে বোর্ড দিক প্রশাসন। অথবা যান চলাচলের গতি বেঁধে দেওয়া হোক জাতীয় সড়েকের এই অংশে। কংগ্রেস কাউন্সিলর শেখ নাজিরউদ্দিন ও সিপিএম কাউন্সিলর আলাউদ্দিন খান বলেন, “ওই রাস্তার উপরে একটি স্কুল আছে। স্কুলের কাছে একটি নিচু স্পিড ব্রেকার থাকুক। বাকিগুলি না থকালেও অসুবিধা নেই।” |