বরফ-ঢাকা ম্যাটারহর্ন শৃঙ্গের চার ধারে রুটিনমাফিক চক্কর খাচ্ছিলেন গেরল্ড বাইনার। হেলিকপ্টার থেকে হিমবাহের উপর নজর রাখাই তাঁর কাজ। অস্বাভাবিক কিছু চোখে পড়লেই ছুটে যাওয়া উদ্ধারের কাজে। সে দিন বাইনারের চোখ পড়ল বরফের ফাঁকে আটকে থাকা একটা জিনিসে। এগিয়ে যেতেই বোঝা গেল সেটা পাহাড়ে ওঠার সরঞ্জাম। এত দিন হিমবাহে ঢাকা পড়েছিল। উষ্ণায়নের জেরে বরফ গলতে শুরু হওয়ায় তা চোখে পড়েছে। উদ্ধারের কাজ শুরু হতেই মিলল কিছু হাড়গোড়, প্রায় অক্ষত একটা হাত। আর নাম লেখা একটা ট্যাগ, কনভিল। অনেকটা ১৯৯৯ সালে এভারেস্ট থেকে ব্রিটিশ পর্বতারোহী জর্জ ম্যালোরির দেহ উদ্ধারের ঘটনার মতোই। হারিয়ে যাওয়ার ৭৫ বছর পরে প্রায় অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল তাঁর দেহ।
নামের সূত্র ধরেই শুরু হল খোঁজ। মৃতদেহের পরিচয় জানতে গুগলের দ্বারস্থ হন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ। জানতে পারেন জোনাথন কনভিল নামের এক ব্রিটিশ পর্বতারোহীর কথা। ১৯৭৯ সালে ম্যাটারহর্ন অভিযানে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন ২৭ বছরের ওই তরতাজা যুবক।
সুইস প্যাথোলজি ল্যাবরেটরি থেকে আসা ফোনে জোনাথনের নাম শুনেই উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলেন মেলিসা। বলার আগেই বুঝে গিয়েছিলেন, খোঁজ মিলেছে প্রায় চার দশক আগে সুইৎজারল্যান্ড এবং ইতালির সীমান্তে আল্পসের ম্যাটারহর্ন শৃঙ্গের কোলে হারিয়ে যাওয়া ভাইয়ের। এতগুলো বছর শুধু স্মৃতি আঁকড়েই বেঁচেছিলেন তাঁরা। এ বার ফের ছোঁয়া গেল জোনাথনের হাত। তবে সত্যি শেষ হয়ে গেল সব। |