স্কুল ছুটির পরে বাস ধরার জন্য স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে ছিল দশম শ্রেণির এক ছাত্রী। বাস এসে দাঁড়াতেই আচমকা ছাদ থেকে একটি চালের বড় বস্তা গড়িয়ে পড়ে ওই ছাত্রীর পায়ে। বাঁ পায়ের হাড় ভেঙে যায় মেয়েটির।
সোমবার বিকেলে নিয়ামতপুরের কাছে জি টি রোডের এই ঘটনায় শিউরে ওঠেন সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষজন। ক্ষুব্ধ মানুষজন বাসটিকে আটক করেন। বাস থেকে নেমে পালিয়ে যান চালক ও খালাসি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশ। আহত ছাত্রীটিকে আসানসোল মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। পুলিশ বাসটি আটক করে থানায় নিয়ে গিয়েছে। |
আসানসোল মহকুমায় বাসের ছাদে পণ্য পরিবহণের ঘটনা নতুন নয়। মহকুমার বিভিন্ন প্রান্তে গেলেই নজরে পড়ে, বাসের মাথায় ডাঁই করে জিনিসপত্র চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মাঝে-মাঝে সে সব মালপত্র বাসের ছাদ থেকে পড়েও যায়। সোমবারের ঘটনা তারই উদাহরণ। মাসখানেক আগে কমিশনারেটের এডিসিপি (ট্রাফিক) সুরেশ কুমার চাডভের নেতৃত্বে আসানসোল মহকুমা জুড়ে রীতিমতো অভিযান চালানো হয়। পুলিশ জানায়, সিদ্ধান্ত হয়েছিল, শুধু এই মহকুমার নয়, ভিন্ জেলা বা রাজ্য থেকে যাতায়াত করা বাসগুলিতেও ছাদে পণ্য পরিবহণ পুরোপুরি বন্ধ করা হবে। পুলিশের দাবি, সেই অভিযান হয়েছিল। কিন্তু অভিযান একটু শিথিল হতেই বাসের চালক-খালাসিরা ফের ছাদে জিনিসপত্র চাপানো শুরু করেন। সোমবার দুর্ঘটনার পরে পুলিশ জানায়, আবার অভিযান হবে। |