ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থার রবিবারের নির্বাচন পর্ব মিটতেই অলিম্পিকে ভারতের ফেরা প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেল। এবং তা ২৩ ফেব্রুয়ারির আগেই। যে দিন শীতকালীন অলিম্পিক শেষ হচ্ছে। অর্থাৎ সোচি অলিম্পিকে সমাপ্তি অনুষ্ঠানেই তেরঙা হাতে দেখা যেতে পারে অংশ নেওয়া তিন ভারতীয় অ্যাথলিটকে।
নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসনের ভাই নারায়ণ রামচন্দ্রনের আইওএ-র প্রেসিডেন্ট পদ-সহ সংস্থার সচিব, কোষাধ্যক্ষ, সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট, ছ’জন যুগ্ম সচিব আর ন’জন এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল সদস্যও বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন এ দিন। ভোট হয় শুধু আট ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদে। প্রার্থী ছিলেন ন’জন। আইওসি-র তিন পর্যবেক্ষক নির্বাচন নিয়ে ‘ইতিবাচক’ রিপোর্ট পাঠানোর পাশাপাশি আশা করছেন দ্রুত অলিম্পিকে ফিরবে ১৪ মাস সাসপেন্ড থাকা আইওএ। কত দ্রুত? আইওসি-র সদস্য ফিজির রবিন মিচেল বলে দেন, “নির্বাচন নিয়ে আমরা খুব খুশি। আইওসি প্রেসিডেন্টকে সোমবারই আমরা রিপোর্ট দেব। সোচি অলিম্পিকের সমাপ্তি অনুষ্ঠানের আগেই আইওসি-র এক্সিকিউটিভ বোর্ডের বৈঠক বসবে। সেখানেই সম্ভবত ভারতের নিষেধাজ্ঞা উঠে যেতে পারে। আমরা ভারতীয় অ্যাথলিটদের সোচির সমাপ্তি অনুষ্ঠানে দেশের পতাকা হাতে দেখতে চাই।”
পর্যবেক্ষকরা খুশি হলেও এ দিনের নির্বাচনে বিতর্ক পুরোপুরি এড়ানো যায়নি। ‘নির্দিষ্ট পদ্ধতি’ না মানায় এআইএফএফ প্রতিনিধিদের আইওএ-র এ দিনের বৈঠক আর নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। আইওএ-র বক্তব্য সংস্থার তিন প্রতিনিধির নাম পাঠালেও তাতে এআইএফএফ প্রেসিডেন্ট বা সচিবের স্বাক্ষর ছিল না। পাল্টা ফেডারেশনের যুক্তি, সচিব কুশল দাস এক মাস হাসপাতালে ভর্তি। তাই সহকারী সচিবের স্বাক্ষর-সহ প্রতিনিধিদের নাম পাঠানো হয়েছিল।” এই যুক্তি আবার উড়িয়ে দিচ্ছেন সিনিয়র আইওএ অফিসিয়াল ও হকি ইন্ডিয়ার সচিব নারিন্দর বাত্রা। তিনি বলেন, “এটা এআইএফএফ-এরই দোষ। প্রতিনিধিনের নাম পাঠানোর চিঠিতে প্রেসিডেন্ট বা সচিবের সই থাকার নির্দেশ আইওএ-র নয়, নির্বাচন কমিশনের। আমাদের তো সেই নিয়ম মানতেই হবে।” |