|
|
|
|
আনন্দক্রীড়ায় এ বার সেরা রমা
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
আনন্দক্রীড়ায় এ বার চমক। এত দিনের একচেটিয়া পুরুষদের আধিপত্য পিছনে ঠেলে দিয়ে সেরার সেরা পুরষ্কার জিতে নিলেন এক মহিলা কর্মী টেলিফোন বিভাগের রমা মজুমদার। ২০০ মিটার হাঁটা ছাড়াও গুলি-চামচ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হলেন রমা।
গত পাঁচ-ছয় বছরের চ্যাম্পিয়ন কৌশিক পাল, আবির কর্মকারদের পিছনে ফেলে রমা যে সাফল্য পেলেন সে রকম আকর্ষণীয় ঘটনা আরও ঘটল রবিবার সারা দিন তালতলা মাঠে। এবিপি-র কর্মী ও তাঁদের পরিবারের প্রায় সাতশো প্রতিযোগী ২১টি ইভেন্টে যোগ দিলেন। পুরুষদের উর্ধ্ব-৫০ হাঁটা বিভাগে গত আট বারের চ্যাম্পিয়ন বিজ্ঞাপন দফতরের আশিস সরকারকে হারিয়ে দিলেন এডিটোরিয়লের বিমল দাস। আনন্দলোকের কৌশিক পাল টুর্নামেন্টের দ্রুততম পুরুষ হলেও, ২০০ মিটারে চ্যাম্পিয়ন হলেন গতবারের সেরা ম্যানুফ্যাকচারিং-এর আবির কর্মকার। মেয়েদের মিউজিক্যাল চেয়ারে নতুন চ্যাম্পিয়ন হলেন নৌরিন সর্দার। দ্বিতীয় এইচ আরের রাইনা মুখোপাধ্যায়। মেয়েদের ৭৫ মিটার দৌড়ে চ্যাম্পিয়ন হলেন এবিপি পরিবারে সদ্য যোগ দেওয়া আনন্দলোকের সৌমি ঘোষ। দ্বিতীয় হলেন উনিশ কুড়ির ইপ্সিতা বসু। মেয়েদের বিভাগে সবথেকে বড় ঘটনা ঘটল ২০০ মিটার হাঁটায়। ভিকট্রি স্ট্যান্ডের তিনটি ধাপেই উঠলেন টেলিফোন বিভাগের তিন কর্মী রমা মজুমদার, আইওনা ম্যানুয়েল এবং সান্ড্রা বসু। |
আনন্দক্রীড়ায় সেরা রমা মজুমদারের সঙ্গে এবিপি-র প্রাক্তন
ভাইস প্রেসিডেন্ট অরুণাভ ভট্টশালী। ছবি: উৎপল সরকার। |
তবে এ বারের নতুন চ্যাম্পিয়নদের জোয়ারের মধ্যেও কিছু পুরানো মুখ আগের মতোই উজ্জ্বল। পুরুষদের উর্ধ্ব-৪০ বিভাগের ১০০ মিটার দৌড়ে পরম্পরা বজায় রাখলেন সাংবাদিক সুব্রত বসু। সব মিলিয়ে সাত বার সেরা হলেন তিনি। আনন্দক্রীড়ার অন্যতম আকর্ষণীয় ইভেন্ট পুরুষদের টাগ অব ওয়ারে এ বারও চ্যাম্পিয়ন অ্যাড সেলস। টানা দশ বার সেরা হল তারা। দ্বিতীয় সার্কুলেশন এবং ডিস্ট্রিবিউশন। তৃতীয় ম্যানুফ্যাকচারিং (বারাসত)।
সকালে পুরুষদের একশো মিটার দৌড় দিয়ে শুরু হয়েছিল প্রতিযোগিতা। সন্ধ্যায় তা শেষ হল ছোটদের আকর্ষণীয় ফ্যান্সি ড্রেস প্রতিযোগিতা দিয়ে। যা দেখতে সন্ধ্যার মুখেও উপচে পড়েছিল ভিড়। মা দুর্গা মোহর হাজরাকেই প্রথম হিসাবে বেছে নিলেন এ দিনের প্রধান অতিথি সংস্থার প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট অরুণাভ ভট্টশালী। দ্বিতীয় স্থানে যুগ্মবিজয়ী হল দীপ্তাধি ঘোষ এবং সৌমাভ পাল। দু’জনেই সেজেছিল নাগা। জোকার সেজে তৃতীয় হয় অভিজয় দে। সংস্থার কর্মীদের ছেলেমেয়েদের বিভিন্ন ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন শ্রীঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্বেষা সাঁতরা, কল্লোল কুণ্ডু, দেবাঞ্জনা ভট্টাচার্যরা।
বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেওয়ার আগে অরুণাভবাবু বললেন, “আনন্দক্রীড়ায় অনেক নতুন নতুন ইভেন্ট এসেছে। বাদ পড়েছে হাঁড়ি ভাঙার মতো ইভেন্ট। কিন্তু এই অনুষ্ঠানের ঐতিহ্য একটুও বদলায়নি। বরং আরও আকর্ষণীয় হয়েছে।” |
|
|
|
|
|