নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসনের বিশ্ব ক্রিকেটের মহাসনে বসার তোড়জোড়ের মধ্যেই তাঁর ভাই আইওএ-র প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে। রবিবার আইওএ-র নির্বাচনে নারায়ণ রামচন্দ্রন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পাশাপাশি ভারতের অলিম্পিকে ফেরার পথও পরিষ্কার হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মোট ন’জন প্রার্থী এ বার আইওএ-র নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছেন। যার মধ্যে ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়া বাকি কোনও আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। তবে নির্বাচনের আগে বিশেষ সভায় আইওসি-র নির্দেশ অনুযায়ী আইওএ সংবিধানে পরিবর্তনের প্রস্তাব পাশ হবে। যাতে ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত কেউ সংস্থার নির্বাচনে অংশ নিতে বা সদস্য হতে পারবেন না।
আইওসি-র তিন জন পর্যবেক্ষকও থাকবেন নির্বাচনে। এক আইওএ অফিসিয়াল বলেন, “বৈঠকে বেশি সময় লাগবে না। আইওএ-র সংবিধানে ছোট্ট একটা পরিবর্তন আনার পরই নির্বাচন শুরু হবে।” এই ‘ছোট্ট’ পরিবর্তন নিয়েই সমস্যা না মেটায় ১৪ মাস আইওএ সাসপেন্ড। সোচিতে শীতকালীন অলিম্পিকে তেরঙা ছাড়াই অংশ নিতে হল তিন ভারতীয় অ্যাথলিটকে। যা নিয়ে আইওএ তুমুল সমালোচনায় পড়ে। নির্বাচন আরও আগে কেন করা গেল না, এ নিয়ে প্রাক্তন অলিম্পিয়ানরা প্রশ্ন তোলেন। আইওএ-র বক্তব্য, নিয়ম মেনেই সব করা হচ্ছে। নির্বাচন হলেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে আইওসি এমনটা নয়।
এ সব বিতর্ক কাটিয়ে রবিবারের নির্বাচনের পর ভারতের অলিম্পিকে ফেরা নিয়ে সমস্যা মেটার সম্ভাবনা প্রবল। এর আগে আইওসি ইঙ্গিত দিয়েছিল এই নির্বাচনের পরই আইওএ-র নির্বাসন উঠে যেতে পারে। শ্রীনির ভাইয়ের হাত ধরেই তাই অলিম্পিকে ভারতের ফেরার ব্যাপারটা প্রায় নিশ্চিত বলে মনে করছে দেশের ক্রীড়ামহল। এন রামচন্দ্রনের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পাশাপাশি খোখো সংস্থার প্রেসিডেন্ট রাজীব মেটা আর এআইটিএ প্রেসিডেন্ট অনিল খন্না যথাক্রমে সচিব আর কোষাধ্যক্ষ পদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পথে।
এর মধ্যে আবার দুর্নীতিমুক্ত স্বচ্ছ প্রশাসনের দাবিতে একটি সংস্থা আইওসি-কে চিঠি দিয়ে অভয় সিংহ চৌতালা আর ললিত ভানোতের ইলেক্টোরাল কলেজে থাকার প্রতিবাদ জানিয়েছে। দুই প্রাক্তন আইওএ কর্তার বিরুদ্ধে মামলা থাকায় তাঁরা নির্বাচনে দাঁড়াতে পারছেন না। আইওসি-র নিষেধাজ্ঞা থাকায় নির্বাচনে বক্সিং ফেডারেশন, তায়কোন্ডো ফেডারেশন আর ফেন্সিং সংস্থার প্রতিনিধিরাও ভোট দিতে পারবেন না। |