শ্রীনিবাসনের দাদার হাত ধরে অলিম্পিকে ফিরছে ভারত
দেশের ক্রীড়া জগতের নিউক্লিয়াস কি এ বার চেন্নাইয়ে সরে গেল? প্রজাতন্ত্র দিবসের আগের সন্ধে থেকে এমনটাই যে মনোভাব ক্রীড়া মহলের!
হবে না কেন? ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এবং অলিম্পিক সংস্থা দুয়েরই শীর্ষ ব্যক্তি যে একই পরিবারের সদস্য হয়ে গেলেন শনিবার থেকে।
চেন্নাইয়ের সেই পরিবারের নায়ারণ রামচন্দ্রন যখন হতে চলেছেন ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (আইওএ) প্রেসিডেন্ট, তখন তাঁর ছোটভাই নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের দণ্ডমুণ্ডের কর্তা। চলতি সপ্তাহেই যিনি ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের হয়ে দাবি আদায়ের লড়াইয়ে ঘুম ছুটিয়ে ছেড়েছেন ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার।
কে এই নারায়ণ রামচন্দ্রন? চেন্নাই সিমেন্টস-এর এই শীর্ষ কর্তা এত দিন ছিলেন স্কোয়াশ র্যাকেট ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (এসআরএফআই)-র প্রাক্তন প্রধান। বর্তমানে ওয়ার্ল্ড স্কোয়াশ ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট। শনিবার যিনি অভয় সিংহ চৌতালা এবং রণধীর সিংহ গোষ্ঠীর তরফে সর্বসম্মত প্রার্থী হিসেবে আইওএ প্রেসিডেন্ট পদের জন্য মনোনয়ন দাখিল করেছেন। বিপক্ষে কেউ না দাঁড়ানোয় আগামী নয় ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের পর তিনিই হবেন আইওএ-র প্রেসিডেন্ট। এ দিন প্যানেল ঘোষিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারতের অলিম্পিকে অংশগ্রহণ নিয়ে জটিলতাও কেটে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারতীয় ক্রীড়াজগতের দুই শীর্ষ সংস্থার শীর্ষ পদে থাকা চেন্নাইয়ের এই দুই ভাই সম্পর্কে বিষেণ সিংহ বেদী বলছেন, “চেন্নাইয়ের পরিবার ভারতীয় ক্রীড়া জগতের নিউক্লিয়াস হতে যাবে কেন? ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এবং ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন দু’টো ভিন্ন সংস্থা। কাজের ধরনও আলাদা। এ জাতীয় জল্পনার কোনও কারণই থাকতে পারে না।”
বেদী ভারতীয় খেলাধূলার এই ভ্রাতৃত্ব ফ্যাক্টর ফুৎকারে উড়িয়ে দিলেও অলিম্পিয়ান শু্যটার জয়দীপ কর্মকারের গলায় স্বস্তির সুর। আইওএ প্রেসিডেন্ট হিসেবে নারায়ণ রামচন্দ্রনের নাম শুনেই জয়দীপ বললেন, “অলিম্পিকে নামতে পারব কি না তা নিয়ে এক রাশ চিন্তা সরে গেল। শুক্রবারও বন্ধুদের বলেছিলাম, রিও অলিম্পিক তো অনেক দূরের ব্যাপার। ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি (আইওসি)-আইওএ জটিলতা না কাটলে এ বছর কমনওয়েলথ গেমস, এশিয়ান গেমস-এর কোনওটাতেই দেশের হয়ে নামা হবে না। সমস্যাটা মিটল।”
নিয়ম মেনে নির্বাচন পরিচালনা না করায় ২০১২-র ৪ ডিসেম্বর আইওএ-র কমিটিকে সাসপেন্ড করেছিল আইওসি। যে নিয়ম না মানায় এই সিদ্ধান্ত তাতে ছিল সত্তরোর্ধ কেউ কমিটিতে থাকতে পারবেন না, পাঁচ বার নির্বাচিত হওয়ার পর কমিটি থেকে সরতে হবে, কমিটির কারও বিরুদ্ধে কোনও ফৌজদারি অভিযোগ থাকলে তাঁকে দাঁড় করানো যাবে না- এমন সব ব্যাপার। ২০১২-তে আইওএ-র নির্বাচনের সময় অভয় সিংহ চৌতালারা সেই নিয়ম মানেননি। রণধীর সিংহ গোষ্ঠী তা নিয়ে হইচই করায় শেষমেশ আইওএ কে নির্বাসিত করার সিদ্ধান্ত নেয় আইওসি। শনিবার সেই শাপমুক্তি হল বলে মনে করছেন মেরি কম, সুশীল কুমারের মতো অলিম্পিকের পদকজয়ীরা। ২০১৬ তে রিও অলিম্পিক থেকেও পদক আনার ব্যাপারে যাঁরা আশা দেখাচ্ছেন গোটা দেশকে।
নতুন আইওএ কমিটি সম্পর্কে ২০১২ তে সাসপেন্ড হওয়া কমিটির সেক্রেটারি জেনারেল ললিত ভানোত বলছেন, “সকলেই সর্বসম্মত ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এন রামচন্দ্রন আইওএ প্রেসিডেন্ট। অলিম্পিকে ভারতের অংশগ্রহণ নিয়ে আর কোনও সমস্যা রইল না।”




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.