আই এফ এ শিল্ডে আর একটা ডার্বি না হওয়ায় ‘খুশি’ তিনি। তা সত্ত্বেও করিম বেঞ্চারিফার পাশে দাঁড়াচ্ছেন আর্মান্দো কোলাসো।
বাগান-বাংলাদেশের ম্যাচ দেখে যুবভারতী থেকে বেরোনোর মুখে লাল-হলুদের গোয়ান কোচ বলে দিলেন, “মোহনবাগান খুব ভাল খেলেছে। ওদের জেতা উচিত ছিল। কিন্তু করিমের ভাগ্য সঙ্গ দিল না। বিরতির পর তো মোহনবাগানই খেলল। গোলের সুযোগও পেয়েছে ওরা। ওডাফা, ক্রিস্টোফার নেই। তাও কিন্তু লড়াই করেছে।” বাগানের মরক্কান কোচের সঙ্গে আর্মান্দোর সম্পর্ক এমনিতে অম্ল মধুর। সেই গোয়া থেকেই। সেখানে চির প্রতিদ্বন্দ্বী কোচ সম্পর্কে এই সার্টিফিকেট বেশ চমকপ্রদ।
শেষ চারে কাদের সঙ্গে খেলতে হবে সেটা শনিবার সকালে জানা ছিল না আর্মান্দো এবং তাঁর দলের ফুটবলারদের। কিন্তু অনুশীলনের পর ডার্বির বিপক্ষে সওয়াল করেছিলেন লাল-হলুদ কোচ। বলে দিয়েছিলেন, “ঘন ঘন ডার্বি খেললে, এর গুরুত্ব কমে যায়।” শেষ পর্যন্ত সেটা হয়নি। বিকেলে সে প্রসঙ্গ মনে করিয়ে দিতেই অবশ্য বলে দিলেন, “সেমিফাইনালে ডার্বি পড়লে খেলতেই হত। তবে আমি কখনওই চাইনি কলকাতার একটি টিম শিল্ড থেকে ছিটকে যাক।”
কোচ আর্মান্দো এবং সহকারী কোচ রঞ্জন চৌধুরি মাঠে এসেছিলেন খেলা দেখতে, আর ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা বসে ছিলেন টিভির সামনে। শেষ পর্যন্ত সেমিফাইনালে ডার্বি খেলতে হয় কি না জানার আগ্রহে। মোহনবাগান না ওঠায় আপনাদের তো ফাইনালে যাওয়ার লড়াইটা অনেক সোজা হয়ে গেল? যা শুনে মোগা বলে দিলেন, “আমি তো সেমিফাইনালে মোহনবাগানকেই চেয়েছিলাম। কলকাতা লিগের ডার্বিতে হারের বদলা শিল্ডে নেওয়ার জন্য। কিন্তু সেটা আর সম্ভব হল না। এখন মোহনবাগানকে হারাতে আই লিগের ডার্বি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।” সুয়োকা আবার বললেন, “মোহনবাগান জিততে পারত। কিন্তু ব্যাড লাক। তবে শেখ জামালও কিন্তু বেশ ভাল দল।” চিডি বললেন, “এ দিন ম্যাচ দেখতে পারিনি, কিন্তু সিকিম ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে ওঁদের খেলা দেখেছি। ভাল দল। তবে ফাইনালে যাওয়ার জন্য আমরাও প্রস্তুত।’’
আর্মান্দোর কথা শুনে অবশ্য মনে হল না, ওপার বাংলার টিমকে মোহনবাগানের মতো আলাদা করে গুরুত্ব দিচ্ছেন বলে। “ভাল দল। ওদের ডিফেন্স ভাল খেলেছে। তবে এটাও ঠিক, ওরা এ দিন ভাগ্যের সাহায্য পেল। নয়তো শেষ চারে যাওয়া উচিত ছিল মোহনবাগানেরই,” বলছিলেন পাঁচ বারের আই লিগ জয়ী কোচ।
মুখে যাই বলুন, বাংলাদেশের টিমটি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য কিন্তু নিজের ডায়েরিতে লিখে নিয়েছেন আর্মান্দো। সেমিফাইনালের স্ট্র্যাটেজি ঠিক করার জন্য। আর যুবভারতী ছাড়ার আগে আর্মান্দো মজা করে বলে গেলেন, “আমরাও ইস্টবেঙ্গল। ওরাও। তবে ফাইনালে যাব আমরাই।” |