আজ বইমেলার শেষ দিন। তার আগেই শনিবার দিনভর মানুষের ঢল বইমেলা প্রাঙ্গণে। তবে শৃঙ্খলা ভাঙেনি এতটুকুও। কিন্তু বইমেলার জন্য মিলন মেলা প্রাঙ্গণ যে যথেষ্ট নয়, তা নিয়ে সরব হয়েছেন ভিড়ে নাজেহাল বইপ্রেমীদের অনেকেই।
বইমেলার ভিড়ের চাপে এ দিন তীব্র যানজট তৈরি হয়েছিল ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসে। কারণ বইমেলার জন্য বরাদ্দ পার্কিং অঞ্চলে এক চিলতেও জায়গা নেই। দুপুরেই গাড়িতে ভরে গিয়েছে সে অঞ্চল। বাইপাসে যে যেখানে পেরেছেন, গাড়ি পার্ক করতে বাধ্য হয়েছেন। অবিলম্বে বইমেলা থেকে কাছাকাছি কোথাও পার্কিংয়ের পর্যাপ্ত জায়গা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করলেন বইপ্রেমীদের অনেকেই।
অভাব-অভিযোগ, স্রোতের মতো মানুষের আসা-যাওয়া, ক্ষণে ক্ষণে জটলা সত্ত্বেও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সফল বইমেলা কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ-প্রশাসন। তবে বইপ্রেমীদের বক্তব্য, মেলার আয়তনের তুলনায় ভিড় কয়েকগুণ বেশি। তাই সমস্যাও বেশি হয়েছে। |
ভিড়ের মাঝে সমস্যা বাড়িয়েছে ছবি তোলার হিড়িক। বইমেলায় এসে প্রিয়জনের ছবি ফ্রেম-বন্দি করতে যত্রতত্র দাঁড়িয়ে পড়ছেন অনেকেই।
ভিড়ের মাঝে মিলেমিশে একাকার বিশিষ্ট আর সাধারণ। একটি রাজনৈতিক দলের মুখপত্রের স্টলের কাছে তখন অন্তরা চৌধুরীর গান শুনতে ভিড় জমিয়েছেন অসংখ্য মানুষ। সেখানে হাজির রাজ্যের মন্ত্রী থেকে সাংসদ অনেকেই।
খাওয়াদাওয়ার স্টলের এলাকায় ভিড়ের চাপ আরও বেশি। পাশাপাশি স্টলে-স্টলে ভিড়, এক ছাতার তলায় থাকা লিটল ম্যাগাজিনগুলির স্টলে ভিড়। বইমেলা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা স্বল্প আয়তনের ফাঁকা জমিতে ক্লান্ত বইপ্রেমীদের বিশ্রাম থেকে আড্ডার ভিড়ও ছিল।
ঢল নেমেছিল নামী প্রকাশকের স্টলের পাশাপাশি নতুন স্বল্প পরিচিত প্রকাশনার স্টলেও। যেমন এই প্রথম কোনও বইমেলায় যোগ দেওয়া ইনফরমেশন পোর্টাল— বাংলা উইকিপিডিয়ার স্টল ঘিরে মানুষের কৌতুহল ছিল চোখে পড়ার মতো।
তবে যত্রতত্র ফেলে দেওয়া জলের পাউচ, খাবারের প্যাকেটের মতো আবর্জনা সাজানো-গোছানো বইমেলার ছবিটাকে কিছুটা ম্লান করেছে বলেই বইপ্রেমীদের মত। |