তেলঙ্গানা বিলে সম্মতি দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। সংসদে ১২ ফেব্রুয়ারি ওই বিল পেশ করবে কেন্দ্র। সীমান্ধ্রের নেতাদের চেষ্টা সত্ত্বেও কেন্দ্রশাসিত এলাকার মর্যাদা পেল না হায়দরাবাদ।
অন্ধ্রপ্রদেশ ভাগ করে তেলঙ্গানা তৈরির প্রবল বিরোধী কংগ্রেসেরই একটি অংশ। খোদ অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী কিরণকুমার রেড্ডিও এর বিরোধী। তেলঙ্গানা বাদে অন্ধ্রের বাকি অংশকে নিয়ে সীমান্ধ্র গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু সীমান্ধ্রে এখনও তেলঙ্গানা-বিরোধী আবেগ প্রবল। অন্ধ্র বিধানসভায় খারিজ হয়ে গিয়েছে তেলঙ্গানা বিল। তাই বিল সংসদে পাশ হয়ে গেলেও ওই অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে চিন্তিত কেন্দ্র।
আজ মন্ত্রিসভা ও কংগ্রেস কোর গ্রুপের দীর্ঘ বৈঠকের পরে তেলঙ্গানা বিলে সম্মতি দেয় কেন্দ্র। ১০ বছর তেলঙ্গানা ও সীমান্ধ্রের যৌথ রাজধানী থাকবে হায়দরাবাদ। নয়া রাজধানী নিয়ে কী করা হচ্ছে তা মন্ত্রিসভার বৈঠকে জানতে চেয়েছিলেন কৃষিমন্ত্রী শরদ পওয়ার। কংগ্রেসের তরফে তাঁকে জানানো হয়, ওই রাজধানী তৈরির সব খরচই দেবে কেন্দ্র। দলীয় সূত্রে খবর, বেশ কয়েকটি শহরের নাম বিবেচনা করছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। তেলঙ্গানা আটকাতে না পারলেও হায়দরাবাদকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা পাইয়ে দিতে আজ চেষ্টা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পল্লম রাজু-সহ সীমান্ধ্রের নেতারা। সেই দাবিও পূরণ হয়নি। তবে উত্তর অন্ধ্র ও রায়লসীমা এলাকার জন্য বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। ক কংগ্রেস নেতা জানিয়েছেন, কিরণ রেড্ডিকে সরাতে বাধ্য হাইকম্যান্ড। কারণ, তেলঙ্গানা বিল পাশ হলে অন্ধ্রে যদি আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হয় তবে তেলঙ্গানা-বিরোধী কিরণের উপরে ভরসা করতে চায় না কেন্দ্র। এখনই মুখ্যমন্ত্রী পদে কাউকে বসাতে না পারলে রাষ্ট্রপতির শাসনের কথাও ভাবতে পারে ইউপিএ সরকার। আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে সমস্যার এই দিক নিয়েও আলোচনা হয়। প্রয়োজনে রাজ্যপালের হাতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য যে সব ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাব বিলে রয়েছে তা সংবিধানসম্মত কি না তা জানতে চান পওয়ার।
তেলঙ্গানা নিয়ে হস্তক্ষেপ করতে আজ রাজি হয়নি সুপ্রিম কোর্টও। নভেম্বরে শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, এখনও অন্ধ্রপ্রদেশ ভাগের বিরুদ্ধে আর্জি শোনার মতো পরিস্থিতি আসেনি। এখনও পরিস্থিতি বদলায়নি বলে শুক্রবার জানিয়েছে বিচারপতি এইচ এল দাত্তু ও বিচারপতি এস এ বোবডের বেঞ্চ। তবে পরবর্তী কালে ওই আর্জি শোনা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছে কোর্ট।
|