আপের নিশানায় নজীব

৭ ফেব্রুয়ারি
তাঁর বহু আলোচিত জন লোকপাল বিলের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় নজিরবিহীন ভাবে দিল্লির উপরাজ্যপাল নজীব জঙ্গকে নিশানা করলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। উপরাজ্যপালের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে কংগ্রেসের হয়ে কাজ করার অভিযোগও এনেছেন কেজরিওয়াল-সহ আম আদমি পার্টির নেতৃত্ব।
এই সপ্তাহেই দিল্লি জন লোকপাল বিলে কেজরিওয়ালের মন্ত্রিসভা সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে। ১৬ ফেব্রুয়ারি ইন্দিরা গাঁধী স্টেডিয়ামে বিশেষ অধিবেশন ডেকে তা পাশ করানোর পরিকল্পনা রয়েছে দলের। কিন্তু কাল বিলটি নিয়ে জঙ্গের সঙ্গে এক বৈঠকের পর সলিসিটর জেনারেল মোহন পরাশরন জানান, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও রাষ্ট্রপতির সম্মতি ছাড়া বিলটি অসংবিধানিক। আজ জঙ্গের বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করেছে আপ শিবির। বৈঠকের বিষয়বস্তু কেন সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হল, সে প্রশ্ন তুলে দলের নেতা আশুতোষ বলেন, “আপের বিরুদ্ধে চক্রান্ত চলছে। উপরাজ্যপালের উচিত কংগ্রেসের বদলে দিল্লির হয়ে কাজ করা।”
একই সুর ফুটে উঠেছে উপরাজ্যপালকে লেখা অরবিন্দের চিঠিতেও। সন্ধ্যায় নজীবকে এক চিঠিতে অরবিন্দ লিখেছেন, “আমি জানি আপনার উপরে কংগ্রেস ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রচুর চাপ রয়েছে। এ-ও জানি, দিল্লি সরকার যাতে বিলটি পাশ করাতে না পারে, সে জন্যও আপনার উপর চাপ আসবে।”
পরিস্থিতি যা, তাতে বিলটির ভবিষ্যৎ অনেকাংশেই নির্ভর করছে জঙ্গের সিদ্ধান্তের উপর। আর তা বুঝে এখন থেকেই বিষয়টি নিয়ে তৎপর আপ নেতৃত্ব। তাঁদের ব্যাখ্যা, বিল পাশ হোক বা না হোক, দু’টি ক্ষেত্রেই দলের লাভ। পাশ হলে যেমন দল কৃতিত্ব নিতে পারবে, তেমনই জঙ্গ আপত্তি করলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রশ্নে আক্রমণ শানাতে পারবে আপ।
এ কারণেই ওই বিল সংক্রান্ত সব দায় উপরাজ্যপালের ঘাড়ে ঠেলে দেওয়ার কৌশল নিয়েছে আপ। জঙ্গকে অরবিন্দ লিখেছেন, “আপনি প্রাজ্ঞ। আমি আপনার চেয়ে অনেক ছোট। তবু ছোট্ট একটি পরামর্শ দেওয়ার ধৃষ্টতা করছি। উপরাজ্যপাল হিসেবে আপনি সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ থাকার প্রতিজ্ঞা করেছেন। কোনও দল বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে নয়।”
কেজরিওয়াল প্রথম থেকেই জানিয়েছেন, এই বিলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ছাড়ের প্রয়োজন নেই। তাই তিনি বিলটিকে কেন্দ্রের কাছে পাঠাবেন না। আইন মন্ত্রক অবশ্য জানিয়েছে, কেন্দ্র যে লোকপাল বিল পাশ করেছে তা দিল্লি সরকারের বিলের থেকে আলাদা। তাই এতে রাষ্ট্রপতির সম্মতি প্রয়োজন। এই ব্যাখ্যা মানতে নারাজ আপ। তাদের এই মনোভাব নিয়ে আজ সরব হয়েছে বিজেপি ও কংগ্রেস। দু’পক্ষেরই বক্তব্য, কেউই দেশের নিয়ম ভাঙতে পারেন না।
জন লোকপাল বিলের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত আপ-কে আজ সাময়িক স্বস্তি দিয়েছে বিদ্যুৎ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের এক নির্দেশ। বকেয়া না মেটানোয় ১১ ফেব্রুয়ারির পর থেকে পূর্ব দিল্লির বণ্টন সংস্থা বিএসইএস-কে বিদ্যুৎ বন্ধ করার হুমকি দিয়েছিল এনটিপিসি। সুপ্রিম কোর্ট এনটিপিসি-কে ২৬ মার্চ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ চালিয়ে যেতে বলেছে। এনটিপিসি-র বকেয়া ৬৯২ কোটি টাকার মধ্যে ৫০ কোটি টাকা অবিলম্বে মেটাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিএসইএস-কে।

পুরনো খবর:


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.