|
|
|
|
মোদীর মুসলিম তাস গুজরাতে
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি
৭ ফেব্রুয়ারি |
রাহুল গাঁধী গুজরাতে পা রাখার আগে সংখ্যালঘুদের মন জয়ে তৎপর হলেন নরেন্দ্র মোদী।
গুজরাতের ‘হীরক রাজধানী’ সুরাতের কাছে ঐতিহাসিক বারদোলি এলাকায় আগামিকাল যাচ্ছেন রাহুল। এক সময়ে সেখান থেকেই শুরু হয়েছিল সর্দার বল্লভভাই পটেলের নেতৃত্বে কৃষকদের সত্যাগ্রহ আন্দোলন। এই পটেলকে পুঁজি করেই নেহরু-গাঁধী পরিবারের বিরুদ্ধে লাগাতার তোপ দেগে আসছেন মোদী। কিন্তু কংগ্রেস নেতৃত্ব এখন লোকসভা নির্বাচনকে সুকৌশলে মেরুকরণের রাজনীতিতে পরিণত করার চেষ্টা করছেন। রাহুল এখনও সে পথে না হাঁটুন, খোদ সনিয়া গাঁধীর ‘বিষের চাষ’ মন্তব্য থেকে কপিল সিব্বলের গুজরাত দাঙ্গার প্রসঙ্গ খুঁচিয়ে তোলা, বা অসীমানন্দের তথাকথিত সাক্ষাৎকার প্রকাশ করে সঙ্ঘপ্রধানকে সন্ত্রাসে জড়িয়ে ফেলা সবের মধ্যেই মোদীর বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু ভোট এককাট্টা করার ইঙ্গিত পাচ্ছে বিজেপি। তাই রাহুলের সফরের এক দিন আগেই আজ সংখ্যালঘুদের মন জয়ে নামলেন মোদী।
আমদাবাদে কেবল মুসলিম ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের জন্য তিন দিনের এক সম্মেলনের আয়োজন করেছেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী। অন্য রাজ্য, এমনকী বিদেশ থেকেও মুসলিম শিল্পপতিরা তাতে যোগ দিয়েছেন। রয়েছেন দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত কিছু ব্যবসায়ীও। প্রতিটি সভায় মোদী বলে আসছেন, গুজরাতে উন্নয়নের নিরিখে তিনি ধর্মের ভেদ করেননি। কংগ্রেসের মতো তুষ্টিকরণের পথেও হাঁটেননি। গুজরাত দাঙ্গার পর গত দশ বছর ধরে শান্তির পরিবেশই বজায় রয়েছে গুজরাতে। ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তি তুলে ধরতে ‘সদ্ভাবনা মিশন’ও করেছেন। কিন্তু আদালতের ছাড় পাওয়ার পরও যখন কংগ্রেস লাগাতার তাঁকে আক্রমণ করেছে, সেই পরিস্থিতিতে নতুন ভাবে উদ্যোগী হলেন মোদী।
এই সম্মেলনের উদ্যোক্তা জাফর সারেশওয়ালা বলেন, “মোদীর নেতৃত্বের প্রতি সকলের আস্থা রয়েছে বলেই আজ সংখ্যালঘুরাও তাঁর পাশে এসে দাঁড়াচ্ছেন।” কিন্তু প্রথম দিনে মোদীর বক্তৃতা শুনতে মাত্র শ’তিনেক প্রতিনিধিই এসেছিলেন, যেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন প্রায় এক লাখ। উদ্যোক্তাদের দাবি, আজ জুম্মা বার হওয়া ও নিরাপত্তার কড়াকড়ির কারণেই উপস্থিতির কম ছিল। কিন্তু এই উপস্থিতিতে মোদী বা বিজেপি আদৌ হতাশ নন। বিজেপির দাবি, লোকসভা ভোটে দেশের সংখ্যালঘুদের ভোটের দিকে চেয়ে বসে নেই দল। জাতীয় স্তরে নিজের গ্রহণযোগ্যতাই বাড়াতেই মোদী মুসলিমদের প্রতি বার্তা দিতে চান। বিজেপি নেতাদের মতে, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের সুফলও পাবে বিজেপি। |
|
|
|
|
|