|
|
|
|
টানিয়ার স্মৃতিতে সৌধ গড়বে অরুণাচল
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি
৭ ফেব্রুয়ারি |
নিদো টানিয়াকে রাজ্য তথা উত্তর-পূর্বের প্রতি চলতে থাকা জাতি বিদ্বেষ বিরোধী আন্দোলনের ‘শহিদ’ ঘোষণা করে অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী নাবাম টুকি জানালেন, নিদোর স্মৃতিতে রাজ্যে একটি সৌধ গড়া হবে।
সেই সঙ্গে টানিয়ার মৃত্যুর ন্যায়বিচার চেয়ে আন্দোলনকারী যুবগোষ্ঠীর সঙ্গেই গলা মেলালেন তিনি। অরুণাচলের ছাত্রদের তরফে কেন্দ্র ও রাজ্যকে যে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে, সেখানে দাবি করা হয়েছে জাতীয় সঙ্গীতে অরুণাচলের নাম ঢোকাতে হবে, সর্বভারতীয় স্কুল পাঠ্যক্রমে উত্তর-পূর্বের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বাধ্যতামূলকভাবে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে, অরুণাচলে মেডিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ-সহ উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়তে হবে ও জাতিবিদ্বেষ বিরোধী আইন প্রণয়ন করতে হবে। ছাত্র সংগঠন টুকির সঙ্গে দেখা করার পরে, টুকি বলেন, “যাতে নিরপেক্ষ সংস্থা টানিয়ার মৃত্যুর তদন্ত করে এবং কেন্দ্র জাতিবিদ্বেষ বিরোধী আইন প্রণয়ন করে তা নিশ্চিত করার জন্য আমি চেষ্টা চালাচ্ছি। টানিয়া আমার পরিবারের সদস্যের মতোই ছিল। আমি ও অন্য সাংসদরা এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সনিয়া গাঁধী ও রাহুল গাঁধীর সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছি। টানিয়ার মৃত্যু, জাতি বিদ্বেষের বিরুদ্ধে উত্তর-পূর্বের মানুষের লাগাতার লড়াইয়ের এক প্রতীক হয়ে থাকবে।”
এ দিকে, আজ টানিয়ার মৃত্যু নিয়ে দিল্লি পুলিশকে এক হাত নিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। এ ধরনের অপরাধ প্রতিহত করতে ২০১২ সালে একটি বিশেষ সেল গড়ে দিল্লি পুলিশ। হাইকোর্টের প্রশ্ন, সেই সেল কী কাজ করছে। টানিয়ার ভিসেরা রিপোর্ট কেন পুলিশের হাতে আসেনি, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে কোর্ট। পুলিশ জানিয়েছে, ফরেন্সিক রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে। যদি দেখা যায়, প্রহারেই টানিয়ার মৃত্যু হয়েছে, তবে চলতি মামলায় খুনের বিষয়টি জোড়া হবে। |
|
|
|
|
|