টুকরো খবর |
লোকসভা ভোটে শিলচরে প্রার্থী তৃণমূলের
নিজস্ব প্রতিনিধি • শিলচর
৭ ফেব্রুয়ারি |
লোকসভা ভোটে শিলচরেও প্রার্থী দেবে তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার কর্মী সম্মেলনে এমনই ঘোষণা করলেন দলীয় নেতৃত্ব। সে দিকে তাকিয়ে সাংগঠনিক কাজ শুরু হয়েছে। গঠন হয়েছে দলের জেলা কমিটি। কর্মী-সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক ভাবে রবিশঙ্কর সিংহকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ‘দিদি’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের নেতাদের বক্তব্য শুনতে ভিড়ও জমে। ছিলেন পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের সংসদীয় সচিব শীলভদ্র দত্ত এবং যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক শান্তনু সেন। বিধানসভা নির্বাচনে দলীয় নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েও বরাক উপত্যকায় আনা যায়নি। কর্মী
সম্মেলনে দুই নেতার উপস্থিতিতে নতুন বার্তা ছড়িয়ে যায়। সম্মেলনে হাজির ছিলেন অসমে দলের রাজ্য সভাপতি বিধায়ক দীপেন পাঠক। তিনি জানান, শুধু শিলচরই নয়, এ বার অসমের ১৪টি আসনের মধ্যে ৭টিতে প্রার্থী দেবে তৃণমূল কংগ্রেস। কেন্দ্রীয় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে প্রচারও করবেন। |
শ্লীলতাহানি, ইস্তফা মন্ত্রীর
নিজস্ব সংবাদদাতা • শ্রীনগর
৭ ফেব্রুয়ারি |
চাপের মুখে পড়ে অবশেষে মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হলেন জম্মু-কাশ্মীরের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী শাবির আহমেদ খান। তাঁর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছেন এক মহিলা ডাক্তার। মন্ত্রীর পদত্যাগের বিষয়টি টুইট করে জানিয়েছেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা।
ঘটনার সূত্রপাত গত ২৮ জানুয়ারি। ওই দিন দুপুরে নিজের সচিবালয়ে ওই চিকিৎসককে ডেকেছিলেন কংগ্রেসের বিধায়ক শাবির। সেই সময়ই তিনি ওই চিকিৎসকের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। পুলিশের কাছে যাওয়া সত্ত্বেও পুলিশ প্রথমে ওই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর দায়ের করতে চায়নি বলেও অভিযোগ করেছেন ওই মহিলা। শেষমেশ সুবিচার চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। প্রায় ন’দিন পর, গত কাল কোর্টের নির্দেশ পেয়েই অবশ্য নড়েচড়ে বসে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মামলা দায়ের হয় ওই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। শ্রীনগর পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা বিষয়টি নিয়ে জম্মু পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। পুলিশের একটা অংশের বক্তব্য, সম্ভবত আগামী কাল জম্মু থেকে ওই মন্ত্রীকে শ্রীনগর আনা হতে পারে। |
ফাঁসির বিপক্ষে
সংবাদ সংস্থা • নয়াদিল্লি
৭ ফেব্রুয়ারি |
ফাঁসির সাজা তুলে নেওয়ার পক্ষে জনমত গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন বেশ কিছু ব্যক্তি ও সংগঠন। যে সব ব্যক্তিত্ব বিষয়টি নিয়ে সরব, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অর্মত্য সেনও। সম্প্রতি ‘আমরা প্রাণদণ্ডের বিরোধী’ শীর্ষক একটি বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছে। প্রায় তিনশো জন ভারতীয় নাগরিক ওই বিবৃতিতে সই করেছেন। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন আইনজীবী, লেখক, অর্থনীতিবিদ থেকে শুরু করে সমাজের শীর্ষ স্থানীয় বেশ কিছু ব্যক্তিত্ব। ওই বিবৃতিতে সই না করলেও একটি আলাদা চিঠিতে অর্মত্য সেন স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে তিনিও বরাবরই ব্যক্তিগত ভাবে ফাঁসির সাজার বিরুদ্ধে। |
উগান্ডার মহিলা ধৃত
সংবাদ সংস্থা • নয়াদিল্লি
৭ ফেব্রুয়ারি |
দেশের মহিলাদের জোর করে যৌন পেশায় নামানোর অভিযোগে উগান্ডার এক মহিলাকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ। ধৃত মহিলার নাম ইরেন। তাঁর বিরুদ্ধে মহিলাদের পাসপোর্ট আটকে রাখারও অভিযোগ রয়েছে। এই ঘটনায় আর এক ব্যক্তিকে খুঁজছে পুলিশ। মনে করা হচ্ছে সেই ব্যক্তি ইরেনের প্রেমিক। আগেই দিল্লির আইনমন্ত্রী সোমনাথ ভারতী দাবি করেছিলেন, উগান্ডার তিন মহিলা তাঁর কাছে এসে জানিয়েছিলেন, তাঁরা যৌনচক্রে ফেঁসে গিয়েছেন। তাঁদের যেন সোমনাথ ভারতী সাহায্য করেন। |
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে ফের মামলা ত্রিপুরায় |
প্রাথমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে রাজ্য সরকারের অস্বস্তি আবার বাড়ল। সরকারি সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে স্নাতক ডিগ্রিহীন অথচ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কিছু চাকরিপ্রার্থী যৌথভাবে ত্রিপুরা হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন দায়ের করে। উচ্চ আদালত মামলাটি গ্রহণ করেছে। সরকারি আইনজীবী তপন দত্ত মজুমদার জানান, ‘‘আদালত তারই প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারকে ১৯ মার্চের মধ্যে হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে।’’ এ পর্যন্ত প্রাথমিক স্তরের শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দু’টি মামলা হল। অভিযোগ, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রায় দু’শো বেকার প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের সুযোগ থেকে বঞ্চিত। অথচ তাদেরই প্রাধান্য দেওয়ার কথা ছিল। তাই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে স্নাতক ডিগ্রিহীন প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা। অ্যাডভোকেট জেনারেল বিজন দাস বলেন, ‘‘উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে দু’বছরের বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এমন ১৫২ জন ব্যক্তি সাম্প্রতিক প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে দ্বিতীয় মামলাটি করেছে।’’ প্রাথমিক স্তরে ৪৬০০ শিক্ষক নিয়োগ করেছে রাজ্য সরকার। দু’টি মামলাতেই সরকারি নিয়োগ পদ্ধতির বিরোধিতা করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, রাজ্যের শিক্ষা দফতর ২০০১ সালের এনসিটিই-র নির্দেশিকাকে অগ্রাহ্য করে শিক্ষক নিয়োগ করেছে। সরকারি বক্তব্য জানার জন্য আদালত দু’টি ক্ষেত্রেই হলফনামা পেশের নির্দেশ দিয়েছে। |
ধৃত সেনা |
ট্রেনে আসন নিয়ে বচসার জেরে যাত্রীকে ছুরি মারল সেনা জওয়ান। বৃহস্পতিবার রঙিয়া স্টেশনে ঘটনাটি ঘটেছে। রেল পুলিশ সূত্রে খবর,আপ সিফুং এক্সপ্রেসে আলিপুরদুয়ার থেকে গুয়াহাটির উদ্দেশে আসছিলেন তিন জওয়ান। তাঁদের মালপত্রে যাত্রীদের বসার আসন ভর্তি হয়ে যায়। অভিযোগ, বরপেটা রোড, সরভোগ, টিহু, পাঠশালা, নলবাড়িতে তাঁরা সাধারণ যাত্রীদের ওই কামরায় উঠতে দেননি। রঙিয়ার নিত্যযাত্রী, এক ব্যাঙ্ককর্মী প্রতিবাদ করে কামরায় উঠতে গেলে এক জওয়ান তাঁর পেটে ছুরি চালিয়ে দেন। এরপর যাত্রীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তিন জওয়ানকে ধরে বেধড়ক মারা হয়। পরে সেনা পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। ধৃত জওয়ানদের নাম বলবীর সিংহ, ভূপিন্দর সিংহ ও গগনদীপ সিংহ। |
ফাঁসির বিপক্ষে সওয়াল |
ফাঁসির সাজা তুলে নেওয়ার পক্ষে জনমত গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন বেশ কিছু ব্যক্তি ও সংগঠন। যে সব ব্যক্তিত্ব বিষয়টি নিয়ে সরব, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অর্মত্য সেনও। সম্প্রতি ‘আমরা প্রাণদণ্ডের বিরোধী’ শীর্ষক একটি বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছে। প্রায় তিনশো জন ভারতীয় নাগরিক ওই বিবৃতিতে সই করেছেন। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন আইনজীবী, লেখক, অর্থনীতিবিদ থেকে শুরু করে সমাজের শীর্ষ স্থানীয় বেশ কিছু ব্যক্তিত্ব। ওই বিবৃতিতে সই না করলেও একটি আলাদা চিঠিতে অর্মত্য সেন স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে তিনিও বরাবরই ব্যক্তিগত ভাবে ফাঁসির সাজার বিরুদ্ধে। |
অসমে অপহৃত দুই |
এক ব্যবসায়ী ও এক চা-বাগান ম্যানেজারকে অপহরণ করল জঙ্গিরা। প্রথম ঘটনাটি ঘটে চিরাং জেলার বাসুগাঁওতে। বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় ব্যবসয়ী পতিতপাবন সাহা ভুটান সীমানায় তাঁর দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন। তখন দাতগিরি থেকে সশস্ত্র জঙ্গিরা অপহরণ করে ভুটানের দিকে নিয়ে যায়। অন্য দিকে, যোরহাটের তিতাবরে অসম-নাগাল্যান্ড সীমানার লখিমিজান চা-বাগানে হানা দিয়ে ম্যানেজার মুন মহন্তকে অপহরণ করে ৩ দুষ্কৃতী। বাগান কর্তৃপক্ষ জানান, তিন জঙ্গি হেঁটে বাগানে আসে। মুনবাবু শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার জন্য ১৫ হাজার টাকা নিয়ে বাগানে যান। সেই টাকা-সহই তাঁকে অপহরণ করা হয়। |
পতাকা নিয়ে |
জাতীয় পতাকার মতো দলীয় পতাকা নিয়ে কংগ্রেস, এনসিপি ও তৃণমূলকে নোটিস পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট। এই ৩ দলের পতাকা নিয়ে নিয়ে জনস্বার্থ মামলা করেছেন সমাজকর্মী অমরপ্রীত সিংহ খানুজা। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র ও নির্বাচন কমিশনের বক্তব্যও জানতে চেয়েছে কোর্ট। |
|