রাত পোহালেই দরজা খুলবে অটো এক্সপো-র। তার ঠিক আগের দিন তাদের নতুন গাড়ি জনসমক্ষে আনল হুন্ডাই মোটর ইন্ডিয়া।
ভারতে পা রাখার পর থেকে গত বছরের জুন পর্যন্ত সেডান গাড়ির বাজারে হুন্ডাই মোটরের অন্যতম বাজি ছিল ‘অ্যাকসেন্ট’। এ বার ভারতের বাজারে গাড়ি শিল্পে মন্দার পরিপ্রেক্ষিতে ঘুরে দাঁড়াতে চার মিটারের কম দৈর্ঘ্যের নতুন গাড়ি ‘এক্সেন্ট’-কে বাজি ধরছে কোরীয় এই সংস্থাটি। মার্চে বাজারে আসবে গাড়িটি।
একটা সময় ছিল, যখন ভারতের গাড়ি বাজার ছিল মূলত ছোট গাড়ির (কমপ্যাক্ট হ্যাচব্যাক) দখলে। বছরখানেক আগে হঠাৎই বাজার বেড়েছিল ‘স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকল’ বা এসইউভি-র। আর এখন বাজার চড়া চার মিটারের কম সেডানের। গত কালই ফোর্ড দেখিয়েছে তাদের ভবিষ্যতের নয়া ছোট সেডান ফিগো-কনসেপ্ট। টাটা মোটরস-ও এনেছে একই ধরনের গাড়ি জেস্ট। টাটা মোটরস বা হুন্ডাইকে প্রতিযোগিতার বাজারে লড়তে হবে সুইফট ডিজায়ার, ইন্ডিগো সিএস, হোন্ডা অ্যামেজ ও মহীন্দ্রার ভেরিটো-র সঙ্গে। |
হুন্ডাইয়ের নয়া সেডান গাড়ি এক্সেন্ট। |
হুন্ডাই-এর অন্যতম কর্তা রাকেশ শ্রীবাস্তবের মতে, ছোট অর্থাৎ হ্যাচব্যাক গাড়ির ক্রেতা মুলত প্রথম বার যাঁরা গাড়ি কেনেন। কিন্তু চড়া সুদের হার, জ্বালানির উত্তরোত্তর মূল্যবৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে সেই ধরনের বেশির ভাগ ক্রেতা গাড়ি কেনার ভাবনা স্থগিত রাখায় ওই গাড়ির বিক্রি কমেছে। সেডান গাড়ির ক্রেতা মূলত যাঁরা ছোট থেকে বড় গাড়ি কিনতে আগ্রহী, তাঁরাই। সে ক্ষেত্রে আর্থিক বিষয়টি ততটা প্রাধান্য পায় না। তবে বড় সেডানের ক্ষেত্রে উৎপাদন শুল্কের হার ২৪% হলেও চার মিটারের কম সেডানে তা ১২%। ফলে এই ধরনের গাড়ির চাহিদা ভারতে ঊর্ধ্বমুখী। তাঁর হিসেবে, গত বছর এই ধরনের গাড়ির বিক্রি বেড়েছে প্রায় ৩৯%। সেই বাজার ধরতে তাঁদের বাজি তাই এক্সেন্ট।
আগামী কাল অটো এক্সপোর প্রথম দিনেই সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩০টি সংস্থা নিজেদের পসরা নিয়ে হাজির হবে সংবাদ মাধ্যমের সামনে। প্রসঙ্গত, প্রথম দু’দিন প্রবেশাধিকার থাকে শুধু সংবাদ মাধ্যমের। আপাতত খুঁড়িয়ে চলা দেশের গাড়ি শিল্পকে এই প্রদর্শনী নতুন কোনও দিশা দিতে পারে কি না, সেটাই এখন দেখার।
|