আমাদের কো-অপারেটিভের সঙ্গে ডিএসপি-র লিজের মেয়াদ আর ১২ বছর। তার পরে আমরা বিপদে পড়ব না তো? পুরসভা কি কিছু করতে পারে না?
প্লাবিতা গঙ্গোপাধ্যায়, সেল কো-অপারেটিভ
আপনাদের যে সংগঠন আছে, আমি তার সঙ্গে আছি। শুধু আপনাদের এলাকাই নয়, কয়েকটি বাদে দুর্গাপুরের সব এলাকাতেই এই সমস্যা রয়েছে। সবাই এ ভাবে লিজ পদ্ধতিতেই বাস করছেন। কিছু আইনি বাধার কারণে অধিকাংশ ক্ষেত্রে দুর্গাপুরে জমি-বাড়ির মালিকানা সত্ত্ব দেওয়া হয় না। তবে সমস্যা হবে না বলেই মনে করি।
এলাকার হাইড্রেন নিয়মিত পরিষ্কার না হওয়ায় মজে যায়। অল্প বৃষ্টিতেই নর্দমা ছাপিয়ে ঢুকে যায় বাড়িতে। ডাস্টবিনের সংখ্যাও অপ্রতুল।
দেবশ্রী চৌধুরী, নিবেদিতা প্লেস, বেনাচিতি
পুরসভার ৪৩টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতে ২২ জন করে কর্মী রয়েছেন। সংশ্লিষ্ট বোরো অফিসে অভিযোগ নথিবদ্ধ করলে তাঁরা দ্রুত নর্দমা পরিষ্কারের ব্যবস্থা করেন। তবে দেখা গিয়েছে, নর্দমা মজে যাওয়ার পিছনে আমাদের সবার ভূমিকা থাকে। প্লাস্টিক প্যাকেটে আবর্জনা ভরে গিঁট দিয়ে তা ফেলে দিই নর্দমায়। কোথাও আবার অপরিকল্পিত ভাবে নর্দমা গড়া হয়েছে। শুরুর দিকে চওড়া। অথচ শেষের দিকে গিয়ে তা সরু। হওয়া উচিত ছিল উল্টো। আমরা পুরসভার দায়িত্ব পাওয়ার পরে প্রায় ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রতি ওয়ার্ডে অন্তত দু’টি-তিনটি করে বড় শৌচাগার গড়েছি। তার পরেও নর্দমায় প্রাতঃকৃত্য সারেন অনেকে। পুরসভার পাশাপাশি আমাদের সবার দায়িত্ব রয়েছে। |
ডিভিসি সেচখালের উপরে বেহাল সেতু। |
পুর এলাকায় ডাম্পার চলছে আঢাকা। ফলে, চোখে ধুলোবালি, কয়লার গুঁড়ো, সিমেন্ট এসে পড়ছে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরবাইক দুর্ঘটনায় পড়ছে।
সুব্রত সাঁই, খয়রাশোল।
আগে এ ভাবে ফ্লাই অ্যাশ নিয়ে যাওয়া হতো। কড়াকড়ি করার পরে তা বন্ধ হয়েছে। তবে পুরোপুরি এই অভ্যাস বন্ধ করা শুধু পুরসভার পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ, এখানকার অধিকাংশ রাস্তা পুরসভার নয়। অন্য কোনও সংস্থার। তা ছাড়া পুরসভার হাতে এ সব ক্ষেত্রে জরিমানা করার সুযোগ নেই। তবু নজরদারি চালানো হয়। সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
সকালে সিটি সেন্টারে বন্ধ ডিয়ার পার্কের সামনে রাস্তায় অনেকে শারীরিক কসরত করেন। পার্কটি কি তাঁদের জন্য ছেড়ে দেওয়া যায় না?
সমিতা চট্টোপাধ্যায়, উদয়শঙ্কর সরণি, সিটি সেন্টার
ডিয়ার পার্কটি এডিডিএ-র। আমরা কিছু করতে পারব না। তবে মানুষজন যদি যৌথ ভাবে আবেদন করেন তা হলে ভগৎ সিংহ ক্রীড়াঙ্গণের ভিতরে মূল স্টেডিয়ামের বাইরে ব্যবস্থা করা যায়। সেটি আমরা ভেবে দেখতে পারি।
বাঁকুড়া মোড়ের ক্যানাল ব্রিজ সব সময় দোলে। অতিরিক্ত সামগ্রী নিয়ে লরি যায়। সেতুটি যে কোনও সময় ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
অশোক কর্মকার, রাতুরিয়া
আমরা সেচ দফতর ইতিমধ্যে সেখানে নতুন চওড়া সেতু গড়ার পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জেনেছি। দরপত্রও ডাকা হয়ে গিয়েছে। দু’পাশের রাস্তা চওড়ার পরিকল্পনাও রয়েছে। |
দুর্গাপুরে বাইরে থেকে অনেকে পড়তে আসেন। কিন্তু ঘর ভাড়া অনেক বেশি। পুরসভা কিছু করতে পারে না?
রণজিৎ মুখোপাধ্যায়, দয়ানন্দ রোড, এ-জোন
এখনই বিশেষ কিছু করা সম্ভব নয়। তবে সিটি সেন্টারে কর্মরত মহিলাদের জন্য একটি হস্টেল আছে। সেখানে একশো জনের ব্যবস্থা থাকলেও গড়ে ৪০টি আসন ফাঁকা থাকে। মেয়র পারিষদ বৈঠকে ওই বাড়ির একটি তলা ছাত্রীদের থাকতে দেওয়ার প্রস্তাব উঠেছে। তা হলে কয়েক জন অন্তত থাকার সুযোগ পাবে। ভবিষ্যতেবড় কোনও পরিকল্পনার কথা ভাবা হবে।
পুর এলাকায় জলাশয় ভরাট করে নির্মাণের একাধিক অভিযোগ উঠছে।
সুব্রত মুখোপাধ্যায়, পুরষা, মায়াবাজার
এমন অভিযোগ ছিল দু’একটি ক্ষেত্রে। সে সব খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে পরিকল্পনা অনুমোদন করে দেওয়া হয়েছে। |